Bogtui Massacre : ‘একটু শান্তি দিন’, বছর ঘুরতেই স্মৃতিচারণায় হাজির সবপক্ষের থেকে রেহাই খুঁজছেন বগটুইয়ের স্বজনহারারা – bogtui massacre one year passed all political parties presented there but villagers offended


Birbhum Latest News : বছর ঘুরেছে, কিন্তু আতঙ্কের সেই রাত আজও বুক কাঁপিয়ে দেয় গ্রামবাসীদের। বীরভূমের রামপুরহাটের প্রত্যন্ত গ্রাম বগটুইয়ের নৃশংসতার এক বছর পূর্ণ আজ। নিহতদের পরিবারের চোখে মুখে চাপা শোক আজও প্রকট। তার মাঝেই দড়ি টানাটানি শুরু রাজনৈতিক দলগুলির। মঙ্গলবার শহিদ সম্মান জানাতে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল-বিজেপি উভয় শিবিরই। বিকেলে মিছিলের আয়োজন করেছে সিপিএমও। তবে নিহতদের পরিবার যাবেন কোন মঞ্চে? ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের উত্তর, “আমাদের একটু শান্তি দিন !”

Bagtui Murder Case : লালন শেখের মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়, মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন বিচারপতি মান্থা
মঙ্গলবার সকালে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠান করবে তৃণমূল কংগ্রেস। বিকেলে বিজেপির শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠান রয়েছে, যেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, সিপিএমের তরফেও একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। তবে উভয় তরফ থেকেই নিহতদের পরিবারকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আসার জন্য নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির দাপাদাপিতে আবার অনেকেই গ্রাম ছেড়েছেন সকালে।

বগটুইয়ের ঘটনায় নিজের মা-সন্তান-স্ত্রীকে হারানো মিহিলাল শেখ সকাল থেকেই গ্রামে নিখোঁজ। কোন দল তাঁকে টেনে নিয়ে যাবে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে, সে ঝক্কি থেকে বাঁচতেই সে সকালেই বাড়ি ছাড়া হয় যায় বলে মনে করছেন অনেকেই। নিহত পরিবারের স্বজনদের অনেকেই বলেছেন, “আমরা সকলের সঙ্গেই আছি।” তবে বছরভর কেউ এসে একবারও খোঁজ নেয় না বলে অভিযোগ তাঁদের।

Bagtui case : লালন শেখ হত্যাকাণ্ডে CBI-কে নোটিশ CID-র
এমনকি, অনেকের পরিবারের লোকজন এখনও পর্যন্ত মৃতদের ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ পর্যন্ত পাননি বলেও অভিযোগ। মৃত দশজনের মধ্যে সাতজনরেই সার্টিফিকেট মেলেনি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, সারা বছর ধরে এলাকার ব্লক সভাপতি থেকে শুরু করে বিধায়ক, সাংসদ কেউই কোনও খোঁজ নেয়না বলেও মন্তব্য অনেকেরই। তাই দলাদলিতে না গিয়ে একটু ‘শান্তি’তে বাঁচতে চাইছেন তাঁরা।

Bagtui Massacre : বগটুইকাণ্ডে ফের গ্রেফতার, CBI-র জালে ভাদু শেখের ভাই জাহাঙ্গির
গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন উপপ্রধান ভাদু শেখের উপর হামলা হয়। খুন হন তিনি। এরপর সেই রাতেই বগটুই গ্রামে ঘটে যায় সেই ভয়াবহ গণহত্যা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক বাড়ি। কার্যত শ্মশানে পরিণত হয় গোটা গ্রাম। শিশু, মহিলা সহ মারা যান দশজন গ্রামের বাসিন্দা। বগটুইয়ের রোমহর্ষক ঘটনার পর গোটা বাংলার রাজনীতি আন্দোলিত হয়। সেই সময় গ্রামে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি মৃতদের পরিবারকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমানে বগটুইয়ের ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *