ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ এদিন তাদের পঞ্চম সেমিস্টারের প্রথম পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে তাদের তিনবার চেকিং করানো হয়। এরপর পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্দিষ্ট আসন থাকা সত্বেও তাদের আসন বদল করা হয়। এছাড়া যারা তৃনমূলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে এই হেনস্থা বেশি করে করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্য কলেজের পরীক্ষায় পুলিশ না থাকলেও এই কলেজের পরীক্ষায় পুলিশ ছিল, এমন অভিযোগও করেছে বিক্ষোভরত ছাত্র ছাত্রীরা। তাই পরীক্ষা শেষ হতেই কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা। যদিও হেনস্তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ পুজন সরকার বলেন, “যা অভিযোগ করা হয়েছে তা একেবারেই মিথ্যে। সব পরীক্ষার্থীর জন্য সমান চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। TMCP-র তরফ থেকে যা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। তাই এভাবে ফালতু বিক্ষোভ দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না।”
অধ্যক্ষ আরও বলেন, বিগত পরীক্ষাগুলিতে অনেক পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নকল করার অভিযোগ উঠেছিল। যার জেরেই এই কড়া চেকিংয়ের আয়োজন। TMCP সদস্য ও কলেজ ইউনিট মেম্বার মাসুদ আলম বলেন, “এটা কলেজের পরিকল্পিত চক্রান্ত TMCP-র বিরুদ্ধে। কলেজ কর্তৃপক্ষের নানান দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে TMCP আওয়াজ তুলছে বিভিন্ন সময়ে। তাই যে যে পরীক্ষাকেন্দ্রে TMCP-র সদস্যদের সিট পড়েছিল, সেখানেই এই ধরনের অবাঞ্ছিত চেকিং করা হয়েছে। আমাদের কলেজে কখনই কেউ নকল করে না কোনও পরীক্ষাতেই। তাও ইচ্ছাকৃতভাবে TMCP সদস্যদের মনোযোগ নষ্ট করার জন্য এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।”
কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী স্নেহা দাম বলেন, “এত কড়া চেকিং আমাদের পড়ুয়া জীবনে আর কোনোদিন দেখিনি। এটা না করলেই ভালো হত। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে কড়া চেকিং তো ছিলই, এমনকি পরীক্ষা শুরুর আগের মুহূর্তে হঠাৎ করে দেখলাম আমাকে বলা হল আমার নির্দিষ্ট আসনে না বসে অন্য আসনে গিয়ে বসতে। এরকম কেন করা হল কিছুই বুঝতে পারছি না। এটা সত্যি যে পরীক্ষার ঠিক আগে এরকম ব্যবহার করলে পরীক্ষায় মনোযোগ দিতে অসুবিধে হয়।”