দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীন, ৫৪ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি কাদিপুরের জওয়ানরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে। জওয়ানরা জানতে পারেন বাংলাদেশ থেকে কিছু চোরাকারবারী ভারতীয় সীমান্তের দিকে আসছে। জওয়ানরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের থামিয়ে দিয়ে তল্লাশি শুরু করে।
রাতের বেলা চোরাকারবারীরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়। জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি লোহার খাঁচা উদ্ধার করে। যাতে ৪ টি এশিয়ান ছোট ওটার প্রাণী পাওয়া যায়। চোরাকারবারীদের কবল থেকে উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলিকে রানাঘাট বন দফতর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৫৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার বলেন, সীমান্তে বিরল প্রজাতির পাখি ও প্রাণীর চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমরা কোনও অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে কোনও ধরনের চোরা চালান হতে দেব না।” আগামী দিনেও চোরা চালান রুখতে এই ধরনের অভিযান লাগাতার চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তরফে।
আন্তর্জাতিক পাচারকারীরা এর আগেও একাধিকবার বাংলাদেশ থেকে এরাজ্যের মাধ্যে বিরল প্রাণী পাচারের চেষ্টা করেছে। মূলত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স থেকে বিরল প্রজাতির পশু, পাখি বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে। সেক্ষেত্রে চোরা চালানের জন্য সীমান্ত এলাকাগুলিকে ব্যাবহার করে পাচারকারীরা। বন দফতর সূত্রে খবর, এই সমস্ত বিরল প্রজাতির প্রাণী বিদেশে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। সীমান্তে এই ধরনের চোরা চালান রুখতে নজরদারি আরও বাড়িয়েছে জওয়ানরা।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার মুরারিশাহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার বিরল প্রজাতির প্রাণী ও পাখি। উদ্ধার হওয়া প্রাণী ও পাখিগুলির মধ্যে ছিল স্লো লরিস, ম্যাকাও, টার্কি। এই প্রাণী ও পাখিগুলিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্লো লরিস, ম্যাকাও, টার্কিগুলিকে পরে আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে এই প্রাণীগুলিকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ প্রাণীগুলোকে উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দেয়।