অপর দিকে হাসনাবাদের দিক থেকে রেশনের চাল ভর্তি একটি লরি দ্রুত গতিতে আসছিল। ১৩ নং সাণ্ডেলেরবিলে আসতেই দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে রেশনের চাল বোঝাই লরিটি পার্শ্ববর্তী খালে গিয়ে পড়ে।
মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ায় বাস ও লরির বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সান্ডেলেরবিল গ্রামীণ হাসপাতলে নিয়ে যায়। যদিও কারোর আঘাত গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দুই চালকের অসতর্কতা এবং রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় এই দুর্ঘটনা বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসীরা।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “সকালবেলা আমি এখানে দোকান করতে এসেছিলাম। আমার চোখের সামনেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। একটি লরি বেশ বেপরোয়া ভাবেই হাসনাবাদের দিক থেকে আসছিল। তারপর তার সামনে পরে যায় ওই যাত্রীবোঝাই বাসটি। আর তখনই মুখোমুখি ধাক্কা লাগে দুটির। বিকট আওয়াজ পেয়ে আমি এবং আরও অনেক লোক সামনে ছুটে যাই। আমরা যাওয়ার আগেই দেখি লরিটা খালে পড়ে গিয়েছে।”
এই ঘটনা নিয়ে ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, “সংঘর্ষের পরই বাসের ভিতরের লোকজন ভয় পেয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করি বাস থেকে। খালে পড়ে যাওয়া লরি থেকেও চালক ও খালাসিকে উদ্ধার করা হয়। তারপর তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”
ওই প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, যেভাবে মারাত্মক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতে অনেকে যে অল্প আঘাতের ওপর দিয়ে বেঁচে গিয়েছেন এটাই বড় ব্যাপার। লরিটি খালে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তেই রাস্তা জুড়ে বস্তা বোঝাই চাল ছড়িয়ে পড়ে। অনেক চালের বস্তা খালেও পড়ে গিয়েছে। কত পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখুনি বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই পথ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ।