DA Protest : কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বরখাস্তের নোটিসে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের – calcutta high court gave interim stay on the notice of dismissal of the registrar of kazi nazrul university


Calcutta High Court : কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বরখাস্তের নোটিসের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের রায়ে আপাতত স্বস্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

Kazi Nazrul University : হাইকোর্টের দ্বারস্থ কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, উপাচার্যকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ক্যাম্পাসে! উত্তেজনা
আদালত সূত্রে খবর, আগামী তিন সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদ থেকে তাঁকে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবারই আদালতের দ্বারস্থ হন চন্দন কোনার। বরখাস্তের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি।

North Bengal University : খাবার বন্ধ হস্টেলের, এনবিইউ-তে অচলাবস্থা
মামলাটি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে তোলা হয়। বুধবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বরখাস্তের নোটিসের উপর আগামী তিন সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।

Jadavpur University: বাংলার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেসরকারীকরণ হতে চলেছে? বড় অভিযোগ শিক্ষক সংগঠনের
কারণ হিসাবে দেখা হয়, গত ১০ মার্চ মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে ধর্মঘটে সামিল হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি দেখিয়েছেন রেজিস্ট্রার। এমনকি তাঁদের বেতন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয় রেজিস্ট্রারের উপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ করেছেন রেজিস্ট্রার এই অভিযোগ তুলে তাঁকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যদিও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্যের বিরুদ্ধেই একাধিক দুর্নীতির পালটা অভিযোগ করেছেন রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার। এমনকি উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। উপাচার্য্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করা, বিভিন্ন দুর্নীতির জড়িয়ে থাকার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

Rabindra Bharati : রবীন্দ্রভারতীতে তৃণমূলের পার্টি অফিস! ক্যাম্পাসে বিশ্ববাংলার লোগো কেন? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের সঙ্গে তাঁরা কাজ করতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেন। গত নয়দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢুকতে গেলে তাকে বাধা প্রদান করা হয় আন্দোলনকারীদের তরফে। আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকার জানান তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তবে তিনি ভিতরে যাবেন।

Hooghly News : ছাত্রীর মায়েদের রঙ মাখিয়ে বিতর্কে প্রধান শিক্ষক, বসন্ত উৎসব ঘিরে হুগলির স্কুলে তুলকালাম
কিন্তু তা মানতে রাজি হননি উপাচার্য। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের সামনে পড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এই ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি দাবি মানা না হলে আগামী দিনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *