আর সেই ছবি কে হাতিয়ার করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতে দিদির দূত কর্মসূচী পালন করা হয়। দিদির দূত কর্মসূচির নিয়ম অনুযায়ী সন্ধ্যায় কোনও এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে নিশিযাপন ও খাওয়া দাওয়া করতে হবে বিধায়ককে।
আর সেখানেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিধায়কের পাশে মেঝেতে বসে খাওয়া দাওয়া করছেন জয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাকেশ চ্যাটার্জি। ওই ছবি বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে আপলোডও করেছে তৃণমূল। আর ওই ছবিকেই হাতিয়ার করে BJP নেতা সায়ন্তন বসু, অনুপম হাজরা সোশ্যাল সাইটে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক অভিযোগ এনেছেন।
তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করার পরই অবশ্য ছবিগুলি সরিয়ে নেওয়া হয়। যদিও তৃণমূলের বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই বিষয়ে বিধায়ক জানান, “ওটা কোনও দিদির দূত কর্মসূচি ছিল না। একটি নিমন্ত্রণ বাড়ি ছিল। আর নিমন্ত্রণ বাড়িতে শাসক বিরোধী সরকারী বেসরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে যে কোনও লোক যেতে পারেন। ওই অনুষ্ঠান বাড়িতে আমি ও থানার IC একত্রে খেতে গিয়েছিলাম। বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।”
যদিও এই বক্তব্য খণ্ডন করেছেন ওই এলাকার এক BJP নেতা। ওই BJP নেতা বলেন, “বিধায়ক এখন যাই বলুন না কেন, গোটা এলাকা এই বিষয়ে জানে। শুধু এই এলাকা কেন, আশেপাশের সব গ্রাম এই বিষয়ে জেনে গিয়েছে। ওটা দিদির দূত কর্মসূচিই ছিল। ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগে থেকেই বিধায়কের খাওয়ার কথা ছিল। সেই সময়েই এলাকার লোক দেখেন বিধায়কের সঙ্গে ওই পুলিশ অফিসার ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকেছেন। পুলিশ যে আর পুলিশ নেই, তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে, একথার সব থেকে বড় প্রমান এটি।”