বোমার ফেটে যাওয়ার কারণেই বিস্ফোরণ বলে অনুমান পুলিশের। পরে ঘটনাস্থলে এসে দুটি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, পাকুরিয়ার বাসিন্দা বাচ্চু মণ্ডলের বাড়ি থেকেই এদিন বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়।
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বাচ্চু মণ্ডল এলাকায় প্রোমোটিং-এর ব্যবসা করেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর একটি মিষ্টির দোকানও রয়েছে এলাকায়। প্রোমোটিং সংক্রান্ত কোনও বিবাদের কারণেই বোমা মারা হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
বাচ্চু মণ্ডলের স্ত্রী মাম্পি মণ্ডল বলেন, “সকালে আমার মেয়ে স্কুলে গিয়েছিল। আমি বাড়ির আবর্জনা ফেলতে বাইরে গিয়েছিলাম। সেই সময় এই বিস্ফোরণ হয়।” কিন্তু কী কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে সে সম্বন্ধে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
মাম্পি বলেন, “আমরা এসবের কিছুই জানি না। আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমার স্বামী আগে কংগ্রেস করতেন। সেই রাগ থেকেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।” ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা বহরমপুর থানার পুলিশকে খবর দেয়।
জানা যায়, এদিন সকালে হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। ভেঙে যায় পাশের বাড়ির জানলার কাঁচ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ। পুলিশ বিস্ফোরণের কারন খতিয়ে দেখছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, কয়েকটি সকেট বোমা ফেটে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে কে বা কারা এই বোমা রেখে গিয়েছে তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। বিস্ফোরণের সময় বাড়িতে কেউ ছিলনা। সে কারণে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
মুর্শিদাবাদ জেলায় বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক হয়ে উঠেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর এক বোমা উধারের ঘটনায় আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী। দিন চারেক আগেই মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার আব্দুলপুর এলাকা থেকে বোমা।উদ্ধার করা হয়।
রাস্তার ধারে একটি ব্যাগের মধ্যে ৫ টি সকেট বোমা রাখা ছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় পথচারীরা বোমাগুলি দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে বোম্ব স্কোয়াড।