
প্রশ্নে উঠতে পারে প্রেমিকের কাছে এত টাকা এল কোথা থেকে? উত্তর একটাই, চুরি করে। নদিয়ার স্নাতক পাশ এই চোরের কাণ্ডে হতবাক তাবড় পুলিশকর্তারা। যতই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, ততই অবাক হচ্ছেন তদন্তকারীরা পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধুবুলিয়ায় একটি চুরির ঘটনায় দিন কয়েক আগে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত চোরের নাম অভিজিৎ সরকার, বাড়ি ধুবুলিয়াতেই। অভিজিৎকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক অবাক করা সব তথ্য।
পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, দামি ক্যামেরা থেকে সামান্য থালা সবই সমান গুরুত্বরের সঙ্গে চুরি করত অভিজিৎ। গ্রেফতারির পর তাঁর থেকে DSLR ক্যামেরা, লেন্সসহ অন্যান্য চুরি করা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। স্নাতক পাশ করে আর পাঁচজনের মতো অন্য কোনও কাজ বাদ দিয়ে কেন চুরি? তদন্তকারীদের প্রশ্নের জবাবে ওই যুবক জানিয়েছে পুরোটাই ভালবাসার জন্য। প্রেমিকাকে খুশি করতেই চুরিবিদ্যায় হাত পাকিয়েছে সে।
ধুবুলিয়ায় একের পর এক চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে একটি যোগসূত্র পেয়েছিল পুলিশ। নতুন ধরনের পদ্ধতিতে চুরি ভাবিয়ে তুলেছিল তদন্তকারীদের। যদিও গোয়েন্দারা নিশ্চিত ছিলেন যে এটা কোনও পাকা চোরের কাজ নয়। কারণ এই চোর সস্তা কোনও জিনিসও বাদ দিচ্ছে না। তদন্তে নেমে অভিজিতের উপর পুলিশের সন্দেহ হয়। এলাকার বেশ কয়েকজন যুবকের বিলাসবহুল জীবনযাপন তাঁদের সন্দেহ বাড়িয়েছিল। কয়েকদিনের নজরদারির পর রবিবার অভিজিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনার কথা শুনে স্থানীয় বাসিন্দা অভিষেক রায়চৌধুরীর সহাস্য মন্তব্য, “আমরাও স্কুল-কলেজে থাকাকালীন প্রেম করেছি। প্রেমিকার উপহারও দিয়েছি। কিন্তু তাঁকে খুশি করে চুরির করার কথা ভাবতে অনেক সাহস লাগে। এমন ঘটনা প্রথম শুনলাম।”