এদিন তাঁর আবাসনে গিয়ে একাধিকবার ডাকাডাকি করেও ফ্ল্যাটের দরজা খোলেননি তিনি। যদিও ফ্লোরের ২০৬ নম্বর রুমের আবাসিকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে ইমনের। সেখানে অবাধ যাতায়াত ছিল কলেজ ছাত্রী ইমনের। অনুমান করা হচ্ছে, সেখানেই আত্মগোপন করে রয়েছেন অয়ন শীলের ছেলে অভিষেকের বহু চর্চিত বান্ধবী।
রুমের জানলা দিয়ে নজরদারি চালাচ্ছেন বাড়ির লোক। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির উপস্থিতি বুঝতে পেরে খুলছেন না দরজা। বুধবার সকালে বাড়ির পরিচারিকা লক্ষ্মী ঘরামি দরজায় বেল বাজানোর পরও দরজা খোলেনি গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার। লক্ষ্মী বলেন, ”প্রতিদিনই কাজে আসি। গতকালও এসেছিলাম, দরজা খুলেছিল। কিন্তু, আজ এসে ডাকাডাকি করার পরেও দরজা খোলেনি। আবার দুপুরে আসব।”
কী বলছেন প্রতিবেশীরা?
ইমনের প্রতিবেশী অমর চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিভাস বাবু পাড়ার লোকেদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করতেন না। তবে দেখে মনে হত সজ্জন মানুষ। মাঝেমধ্যে ইমনকে দেখা যেত পাড়ায়। আইনজীবীদের মতো কালো কোট ও সাদা প্যান্ট পরত । সঙ্গে থাকতো বিলাসবহুল গাড়ি । খুব কম যাতায়াত করতেন এবং খুব কম মানুষের সঙ্গে কথা বলেন গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার।
পাড়া প্রতিবেশীদের দাবি, ”এই ফ্ল্যাটে থাকেন ইমন। তাঁর সঙ্গে দু-একজন বন্ধু আসতেন প্রায় প্রতিদিন।” কখনও কখনও অনেক রাত করে বাড়ি ফিরতেন ইমন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশিরা। শেষ দশ দিনে তাঁকে দেখা যায়নি। এলাকার মানুষের অনুমান, ”অয়ন শীলের ছেলে অভিষেকর সঙ্গে ইমনের গভীর সম্পর্ক । শুধু তাই নয় নানারকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত দুই পরিবার বলেও দাবি তাদের।”