আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমিখ হয়েছিলেন পুলক। সেখানে তিনি বলেন, “গত ১১ নভেম্বর সংবাদ মাধ্যমের কাছে আমার নামে অসত্য অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আমি সংবাদ মাধ্যমে সেই বিষয়টি দেখার পর অভিযোগের প্রমাণ দেওয়ার জন্য গত ১৭ নভেম্বর আমার আইনজীবী মারফৎ ওনাকে চিঠি পাঠাই। ২২ নভেম্বর উনি সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেন। যদিও তারপরেও বিরোধী দলনেতা কোন প্রমাণ দিতে পারেননি।”
এদিন মন্ত্রী আরও বলেন, “কোনও উত্তর দিতে না পারার জন্য ৩ জানুয়ারি বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে উলুবেড়িয়া আদালতে মামলা দায়ের করেছিলাম। আজ পুনরায় উলুবেড়িয়া আদালতে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করলাম। শুভেন্দু অধিকারী আমার আমার সম্মানহানি করায় মাননীয় বিচারকের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছি।”
১১ নভেম্বর এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সরকারের জল জীবন মিশন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি অভিযোগ করেন খোলা বাজারে যে ফেরুলের দাম ২১৩ টাকা দামে বিক্রি হয়, তা ৫৭০ টাকা করে কেনা হয়েছে। চারটি নির্দিষ্ট এজেন্সিকে দিয়ে এইগুলো কেনা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ১০৮৬ কোটি টাকার এই প্রকল্পে নুন্যতম ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
শুধুমাত্র দুর্নীতির অভিযোগ করেই থেমে থাকেনননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এই দুর্নীতিতে দফতরের একাধিক আধিকারিকের পাশাপাশি মন্ত্রী পুলক রায় জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কোনও প্রমাণ ছাড়াই কীভাবে শুভেন্দু অভিযোগ করলেন, সেই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন পুলক। আগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে যায় সেটাই এখন দেখার। উল্লেখ্য, এদিন কাঁথি আদালতে মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা ও জাগো বাংলার সম্পাদকের নামে মামলা রুজু করা হয়েছে।