অয়ন কী কাজ করতেন সেই প্রসঙ্গে তিনি কিছু জানেন না বলেও দাবি করেছেন শ্বেতা। অয়নের থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে ৫৫ লাখ টাকা যাওয়ার দাবিকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করেছেন শ্বেতা। তিনি বলেন, “না না, উনি আমাকে এত টাকা দেননি। ফ্ল্যাট কেনার জন্য আমি যে টাকা দিয়েছি, সেটাই উনি আমাকে ফেরত দিয়েছেন। এত টাকার এখানে কোনও গল্পই নেই।”
শ্বেতার নাম সামনে আসার পর থেকে জানা যায় চাকরি করার পাশাপাশি তিনি মডেলিংও করতেন। এমনকী অয়নের প্রোডাকশন হাউসের ছবিতেও তিনি কাজ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে শ্বেতা বলেন, “আমি এখন চাকরি করি পুরসভায়। অয়ন শীলের সঙ্গে পরিচয়ের আগে থেকে আমি মডেলিং করেছি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি বেশ কিছু জায়াগায় কাজও করেছি। ইডি বা অন্য কোনও সংস্থার তরফে এখনও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। যোগাযোগ করা হলে আমি নিশ্চয়ই সহযোগিতা করব।”
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর তাঁকে জেরা করেই অয়নের তথ্য পাওয়া যায়। অয়নের সল্টলেকের অফিসে ৩৭ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। অয়নের অফিস থেকে দুই ট্রলি ব্যাগ ভর্তি নথি উদ্ধার করে তদন্তকারীরা। অয়নকে আদালতে পেশ করে চাঞ্চল্যকর দাবি করে ইডি। সংস্থার দাবি, শুধু শিক্ষা দফতর নয় রাজ্যের সর্বত্র নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এমনকী রাজ্যের ৬০ পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করে ইডি। আগামী দিনে এই তদন্ত কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।