আর এই ব্যাপারে সাধারন মানুষকে সচেতন করতে বুধবার বিশ্ব জল দিবসে মানুষকে সচেতন করতে বাগনানে ও ডোমজুড়ে পথে নামল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। পদযাত্রার পাশাপাশি পথ নাটিকার মাধ্যমে এদিন মানুষকে সচেতন করা হয়। এদিন রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের উদ্যোগে এবং শ্যামপুরের একটি স্বেচ্ছসেবী সংগঠনের সহায়তায় এদিন বাগনানে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
এদিন সকালে বাগনানের খাদিনান মোড়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের উলুবেড়িয়া মহকুমা কার্যালয়ের সামনে থেকে এক সচেতনতা পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রা শুরুর আগে জল বাঁচানোর আবেদনে শপথ বাক্য পাঠ করা হয়। এদিন পদযাত্রার সূচনা করেন দফতরের আধিকারিক পার্থ সারথি হালদার।
এই পদযাত্রা বাগনান ১ নং ব্লকের BDO অফিস পর্যন্ত যায়। BDO অফিস প্রাঙ্গনে জল অপচয় নিয়ে সাধারন মানুষকে সচেতন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাগনান ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন দাস, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের কর্মাধক্ষ্য সমীর সামন্ত সহ অন্যান্যরা।
এদিনের এই কর্মসূচী সর্ম্পকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তা দীপ প্রামানিক জানান, “জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া আমরা একটা দিনও কল্পনা করতে পারি না। অথচ একশ্রেনীর মানুষ এইসব ভুলে নিয়মিত জল অপচয় করে চলেছে। আর সেই ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে পথে নেমেছি আমরা। জল যদি এখন থেকে সাশ্রয় না করা হয়, তাহলে আগামী দিনে যে কি ভয়ানক অবস্থা আসতে চলেছে তা কল্পনার বাইরে। আমরা যদিও বা এখন মোটামুটি পরিমানে জল পাচ্ছি, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জলের জন্য হাহাকার করবে। তাই এভাবে জল অপচয় এখুনি বন্ধ করতে হবে।”
দফতরের আধিকারিক পার্থ সারথি হালদার বলেন, “নিঃসন্দেহে এক ভালো উদ্যোগ। রাস্তাঘাটে বা অনেক বাড়িতেও আমরা অনেক সময়েই দেখি অনেক মানুষ বিনা কারণে জল ফেলছেন, অপচয় করছেন। এটার জন্য যেমন দরকার সচেতনতা বার্তা, ঠিক তেমনি সব মানুষকে নিজে থেকেও জল অপচয় রুখতে এগিয়ে আসতে হবে।”