বুধবার রতুয়ার কুতুবগঞ্জে যোগদান কর্মসূচির সভা থেকে কংগ্রেস এবং সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ মালদা তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির। তাঁর কথায়, “তৃণমূল কংগ্রেস তোমাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছে, গ্রামের মানুষকে যদি বোকা বানানোর চেষ্টা করো, গ্রামের রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে তোমাদের বিচার করা হবে, তোমাদের সেখানেই শাস্তি দেওয়া হবে।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের বিরোধীদের হুঁশিয়ারি মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির।
এদিনের কর্মসূচিতে থেকে রহিম বক্সি জানান, করোনার সময় মুখ্যমন্ত্রী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সবার জন্য খাবার, ওষুধের ব্যবস্থা করেছিলেন। তখন কিন্তু তিনি বলেননি যে সিপিএম পাবে না, কংগ্রেস পাবে না, বিজেপি পাবে না। এরপরেই কংগ্রেসকে নিশানা করে রহিম বলেন, “এখন কংগ্রেস বন্ধু রাস্তায় চায়ের দোকানে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করছো। তোমাকেও খাবার দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্লজ্জের দল কিছু মানুষ যারা সাধারন মানুষকে ঠকছে। তোমাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি।”
এখানেই শেষ নয়। ধর্মীয় ও জাতপাতের মেরুকরণ নিয়ে বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, কংগ্রেস আবার জাত পাতের নামে মানুষকে ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কংগ্রেস সিপিএম যৌথভাবে জোট বেঁধে নিয়ে আবার বিজেপির মতো একটা সাম্প্রদায়িক দলে রূপান্তরিত হয়েছে। আবার হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাইয়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। রহিম বলেন, “যে কংগ্রেস-সিপিএম আপনাদের বাড়িতে যাবে তাঁদেরকে ধরুন আচ্ছা করে দাওয়াই খাওয়ান। যাতে আর কোনওদিন গ্রামে ঢুকতে না পারে। এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে তারা বুঝতে পারে মানুষকে আর ঠকানো যাবে না।”
তৃণমূল সভাপতির বক্তব্যের চূড়ান্ত সমালোচনা করেছে বিরোধী নেতৃত্ব। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুর বলেন, “ওঁদের সঙ্গে পুলিশ, প্রশাসন আছে বলে ভুলভাল বকছেন। সাগরদিঘি প্রমাণ করে দিয়েছে, সংখ্যালঘু ভোট ওদের দিকে নেই। ওঁরাই মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দুর্নীতি করেছে।” সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মৈত্র বলেন, “ওঁদের নেত্রীই তো বলেছেন, যতই চোর বলুক রাস্তার মাঝখান দিয়ে বুক ফুলিয়ে চলতে হবে। আমরা জানি, যাঁদের দুকান কাটা তাঁরা রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলেন। ওঁদের তো লজ্জা নেই।”