বেআইনিভাবে চাকরি বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা আয়ের পর তা সাদা করার জন্য একাধিক পন্থা নেন অয়ন শীল। অগণিত জমি ফ্ল্যাটের সঙ্গে সঙ্গে পেট্রল পাম্পেও বিনিয়োগ আছে তাঁর।
জানা গিয়েছে, হুগলির গুড়াপ থানার ঘোষলা এলাকায় রয়েছে অয়ন শীলের পেট্রল পাম্প। সূত্রের খবর, পেট্রোল পাম্পটি কেনা হয়েছিল অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীল এবং তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। যদিও পাম্প কর্মীরা জানাচ্ছেন, সেখানে একা অয়নেরই যাতায়াত ছিল। শুধু পেট্রল পাম্পই নয় তার পাশের জমিটি কিনেও সেখানে একটি হোটেল তৈরি করচ্ছিলেন তিনি। সেটির কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। বছর দেড়েক আগে সেটির কাজ বন্ধ হয়ে যায় অজ্ঞাত কোনও কারণে। অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা খেটেছে এই পাম্প ও হোটেলে।
সূত্রের খবর, শুক্লা সার্ভিস স্টেশন নামের এই পেট্রল পাম্প বছর চারেক ধরে বন্ধ ছিল। ২০২০ সালে অয়ন শীলের ছেলে ও তার বান্ধবীর নামে এই পাম্প কেনা হয়। তারপরই পাম্পের পাশের জমি কিনে শুরু হয়েছিল ওই হোটেলের কাজ।
পাম্পের কর্মীরা জানান, ”অয়ন শীল মাঝে মধ্যে সেখানে আসতেন। তবে অভিষেক বা ইমন কোনওদিনও আসেননি পাম্পে।” কর্মীদের সঙ্গে দারুণ অমায়িক ব্যবহার ছিল অয়নের। পাম্প কর্মীরা এখনও বিশ্বাসই করতে পারছেন না মালিক অয়ন শীল যে এত বড় দুর্নীতিতে যুক্ত।
পাম্প কর্মী রাজু বৈরাগ্য জানাচ্ছেন, ”অয়ন শীল পাম্পে এলেও বেশি সময় কাটাতেন না। তবে কর্মীদের সঙ্গে কখনই তেমন মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক ছিল না। তাদের রান্না করা খাবারও খেতেন তিনি। এমন সাদামাটা মানুষটাকে দেখলে বোঝা যেত না তার তলে তলে এত।”