কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ার এক সভা থেকে ভরতপুরকে ‘মডেল ভিলেজ’ হিসাবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো কাজও শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ভরতপুরের পটচিত্র শিল্পীদের জন্য তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে আলাদা বাড়ি। টালির ছাউনিতে পাকা বাড়ি করে দেবে প্রশাসন। প্রত্যেকের ঘরের দেওয়ালেও পটচিত্রের ন্যায় এঁকে দেওয়া হবে। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে রাস্তা, সৌরবিদ্যুৎ চালিত আলো, ড্রেন নির্মাণ। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য মনযোগ দেওয়া হচ্ছে সৌন্দর্যয়ানে।
পর্যটকদের জন্য হস্তশিল্পের অন্যতম ফেভারিট ডেস্টিশনেন হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ভরতপুরকে। শিল্পীদের জন্য ঘর, রাটস, এল, নিকাশি ব্যবস্থার নির্মাণের পাশাপাশি একটি পুকুর কোনো করে দেওয়া হচ্ছে জল ব্যবহারের জন্য। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কেমন ফেসিলিটি সেন্টার নির্মাণ করে দেওয়া হবে। পটশিল্পীরা যে শিল্পকর্ম তৈরি করবেন, তার জন্য নির্দিষ্ট প্রদর্শনীর জায়গাও করে দেওয়া হবে। এই সমস্ত কিছুই করে দেওয়া ছাতনা ব্লক প্রশাসনের তরফে।
উত্তরবঙ্গে চা শ্রমিক থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় উদ্বাস্তুদের পাট্টা বিলি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তেমনি এই গ্রামের পটচিত্র শিল্পীদেরও পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামের মোট ১৫ জন শিল্পীকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রত্যেকেই নিজস্ব পাঁচ শতক করে জমি পাবেন। ভরতপুর গ্রাম লাগোয়া এই জমিতেই গড়ে তোলা হচ্ছে তাঁদের বাড়ি।
জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে স্বভাবতই খুবই খুশি গ্রামের পটচিত্র শিল্পীরা। এক শিল্পী জানান, পিংলার মতো আমাদের এখানকার পটচিত্র শিল্প যথেষ্ট সুন্দর ও আকর্ষণীয়। তবে আমাদের কাজের কিছুটা প্রচার হওয়ার প্রয়োজন ছিল। যেটা আমাদের আর্থিক ভাবেও সক্ষম করে তুলবে। সেক্ষেত্রে আমাদের ভরতপুর গ্রামকে এরকম মডেল গ্রাম হিসাবে আমাদের অনেকটাই উপকার হবে। ‘মডেল গ্রাম’ হিসাবে গড়ে ওঠার পর পর্যটনের দিক থেকে এই গ্রাম অনেকটাই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন সকলেই।