এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই নতুনপল্লি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের তরফে এলাকার কিছু যুবককে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকী বিক্ষোভকারীদের দুষ্কৃতী হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভা নির্বাচনে তাঁরা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হয়ে ভোট প্রচার করেছেন। আর আজ তাঁদেরকেই দুস্কৃতী বলা হচ্ছে।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তেড়ে যান পুর চেয়ারম্যান। কোনওক্রমে গাড়িতে উঠে গেলে বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে পড়ে তাঁর গাড়ি। এমনকী রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে স্থানীদের একাংশ চোর স্লোগান তুলতে শুরু করেন। এলাকায় কোনও কাজ হয়নি বলেও দাবি করতে থাকেন বাসিন্দারা। এমনকী তাঁকে কটাক্ষ করে কেউ কেউ ‘ভিখারি চেয়ারম্যান’ বলেন। কোনওক্রমে সেখান থেকে গাড়িতে পুরসভার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, চেয়ারম্যান নয় এলাকার কাউন্সিলর হিসেবে ওনাকে আমরা ধরেছি। আমাদেরকে সেখানে দুষ্কৃতী বানিয়ে দেওয়া হল। ভোটের সময় ওঁনার জন্য জান-প্রাণ এক করে আমার খেটেছিলাম।
এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আমি বাড়ি থেকে বেরতেই এলাকার কিছু অসামাজিক লোক আমাকে অযথা গালমন্দ করছিল। প্রতিবাদ করে আমি সেখান থেকে চলে আসি। এর পিছনে কিছু সমাজবিরোধী রয়েছে, তাঁরা এলাকায় অশান্তি তৈরি করতে চাইছেন। এঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য না, সমাজের উচ্ছ্বিষ্ট লোক থাকে কিছু। কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা ভেবে দেখব।”
গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এলাকার উন্নয়নে কোনো কাজ করেননি। মানুষ বুঝে গিয়েছে। তাই তার নিজের এলাকার মানুষই তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷ এটা স্বাভাবিক ঘটনা।” উল্লেখ্য, বুধবার তুফানগঞ্জে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা রায়।