জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় হাই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকদের বচসা বাধে। টুকলি করা নিয়েই বচসা বলে অভিযোগ। এই নিয়ে ভাঙড় স্কুলে ছাত্রদের সঙ্গে অন্য স্কুলের পরীক্ষার্থীদের মারামারি লেগে যায়। ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় স্কুল চত্বরে।
ভাঙড়ের কাঠালিয়া স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সিট পড়েছিল ভাঙড় হাইস্কুলে। সেখানেই পরীক্ষার্থীদের টুকলি করার অভিযোগ। শিক্ষকরা বাঁধা দিলে এই নিয়ে বচসা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে স্কুল চত্বরে। খবর দেওয়া হয় ভাঙড় থানায়। সঙ্গে সঙ্গে ভাঙড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী হাজির হয় স্কুল চত্বরে।
স্কুল সূত্রে খবর, উচ্চমাধ্যমিক চলাকালীন কিছু পরীক্ষার্থী টুকলি করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা মেটার পর সেই বিষয়টি নিয়ে তুমুল ঝামেলা শুরু করে পরীক্ষার্থীরা। এমনকি স্কুলে ভাঙচুর করার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের। উচ্চমাধ্যমিকের পর বেলা দুটোর পর থেকে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। সেইমতো ভাঙড় হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্ররা এসে হাজির হয়।
Higher Secondary Examination: উচ্চ মাধ্যমিক, তারস্বরে তৃণমূলের ঢাকঢোল মাইক!
অভিযোগ, এরপর বাইরের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ভাঙড় হাইস্কুলের ছাত্রদের তুমুল অশান্তি বাধে। শুরু হয় মারপিট। ঘটনায় একজন শিক্ষকের হাতেও চোট লাগে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। লাঠিচার্জ করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র সরকার বলেন, “উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনও অসুবিধা হয়নি।
পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে। কিছু পরীক্ষার্থীরা ঝামেলা করার চেষ্টা করছিল। সেই কারণে স্কুলের বাইরে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে। আমাদের একজন শিক্ষক আহত হয়েছেন।” উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা মেটার পর একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও সুষ্ঠুভাবে চালু হয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক। তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।