ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী দিঘির পাড়ে দুঃস্থ কচিকাঁচাদের জন্যে বসেছিল ফ্রি অঙ্কনের আসর। সেখানেই ক্ষুদেদের আঁকার সাদা খাতায় ফুটে উঠল জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি। মঙ্গলবার এমনই ছবি ধরা পড়েছে। গ্রিন জলপাইগুড়ি নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সপ্তাহে দুদিন সম্পূর্ন বিনামূল্যে শহর এবং সংলগ্ন গ্রামের দুঃস্থ শিশুদের নিয়ে আাঁকার স্কুল বসায়। মঙ্গলবারও জলপাইগুড়ি জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি দিঘির পাড়ে বসেছিল রং-তুলির আসর।
শিক্ষক তথা শিল্পী রাজু দে এই প্রসঙ্গে বলেন, “সম্পূর্ন বিনা পারিশ্রমিকে এবং অঙ্কন সামগ্রী প্রদান করে শহরের দু’জায়গায় আমার এই ফ্রি আর্ট স্কুল চালিয়ে আসছি। এখানে আসা দুঃস্থ শিশুদের মধ্যে অঙ্কনের মাধ্যমে সুষ্ঠ সমাজ ভাবনা ও সৃজনশীলতা তৈরির করাই আমাদের লক্ষ্য। অতীত ও বর্তমানে যাঁরা স্বচ্ছ উন্নত সমাজের জন্য লড়েছেন বা লড়াই করছেন, তাঁদের সঙ্গে খুদেদের পরিচয় করানোও এই আর্ট স্কুলের লক্ষ্য। জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি যুব সমাজকে নতুন করে বাঁচতে শেখার এবং দেশ গড়ার পথ দেখিয়েছেন। শিশুদের মধ্যেও যে তাঁর প্রভাব রয়েছে। তা আরও একবার স্পষ্ট হল।”
রাজুবাবু যে ভুল কিছু বলছেন না, তাঁর প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলল অষ্টম শ্রেণির দীপ রায়ের আঁকার খাতায়। পেনসিল স্কেচে নিখুঁতভাবে জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি ফুটিয়ে তুলেছে সে। গ্রিন জলপাইগুড়ি নামের এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক মিতালী সরকার বলেন, “সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা সপ্তাহে দুদিন এই ফ্রি আর্ট স্কুল চালিয়ে যাচ্ছি। ওদের মনের মধ্যেও যে ইচ্ছে, স্বপ্ন লুকিয়ে রয়েছে সেটিকে শিল্পীর চেতনায় তুলে ধরার চেষ্টা করছি।”
উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক সহ একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তাঁর পর্দাফাঁস হয়েছে বলে মনে করেন অধিকাংশ রাজবাসী। এমনকী তাঁর নির্দেশে অনেক অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী চাকরি হারিয়েছেন। অনেকের কাছে তিনি যে ক্রমেই একজন ‘আইডল’-এ পরিণত হচ্ছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।