তবে হলুদ ট্যাক্সি নিয়ে সম্প্রতি একটি সুখবরের কথা জানা গিয়েছে। শহরের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকার হলুদ ট্যাক্সির বিলুপ্তি রুখতে তাদের রূপান্তরিত করা নিয়ে পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। ডিজেলচালিত হলুদ ট্যাক্সির ইঞ্জিন বদলে তাদের ই-ভেহিকলে বদলে ফেলার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স ও ব্রিটেন সরকারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বৈদ্যুতিন গাড়ির একটি সেমিনারে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব এস সুরেশ কুমার। তিনি বলেন, “কলকাতার পরিচিতির সঙ্গে জড়িত হলুদ ট্যাক্সি এত তাড়াতাড়ি অবলুপ্ত হতে দেওয়া ঠিক হবে না। হলুদ ট্যাক্সি বাতিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সেই নিয়ে পরিকল্পনা করছে সরকার।”
অ্যাকিসিলারেটিং স্মার্ট পাওয়ার অ্যান্ড রিনিউবেল এনার্জি ইন ইন্ডিয়া বা ASPIRE-র আওতায় একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব জানিয়েছেন, সরকার বিদ্যুতচালিত যানবাহনের উপর বাড়তি জোর দিতে চাইছে। তিনি বলেন, “আমার চাইছ দেশে বিদেশের বিভিন্ন ই-ভেহিকল নির্মাতা কোম্পানিগুলি বাংলায় আসুক এবং এখানে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি চলাচলের উপর বাড়তি জোর দিক।”
পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, করোনা প্যানডেমিকের পর থেকে ৭ হাজারের মতো হলুদ ট্যাক্সি এখন নিয়মিত শহরের বুকে চলাচল করে। তাদের মধ্যে D ও E সিরিজের আড়াই হাজার ট্যাক্সি ২০২৫ সালের মধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন ট্যাক্সি ইউনিয়নগুলি।
বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জীব রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “অত্যন্ত আনন্দের খবর। আমরা যদি ট্যাক্সির ডিজেল ইঞ্জিন ইলেকট্রিকে বদলে ফেলতে পারি, তার থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। তবে এখানে খরচের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। যদি খুব বেশি খরচ হয়, তবে বেশিরভাগ ট্যাক্সি চালকই তা বদলাতে রাজি হবেন না।”