Kunal Ghosh : পরীক্ষা না দিয়ে গড়িয়ার কলেজে চাকরি সুজনের স্ত্রীর! নথি দেখিয়ে কুণাল বললেন, ‘তদন্ত হবে’ – trinamool leader kunal ghosh accused cpim sujan chakraborty wife for getting job illegaly


Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। নিয়োগের দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ শাসকদল তৃণমূল। এই অবস্থায় আরও একবার নথি প্রকাশ করে বাম জমানায় ‘চিরকুট চাকরি’ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কুণাল।
তৃণমূলের তরফে প্রকাশিত নথি

তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল বলেন, “বাম আমলে চাকরির বেশ কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তা খতিয়ে দেখার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে পাঠানো হয়েছে। নথি খতিয়ে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হোক।”

তৃণমূলের তরফে প্রকাশিত নথি।

সাংবাদিক বৈঠকে একটি তালিকা দেখে একাধিক সিপিএম নেতা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নাম করে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, প্রত্যেকেই বাম আমলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সরকারি চাকরি পেয়েছে। মূলত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই চাকরিগুলি হয়েছে বলেও দাবি করেন কুণাল।

Partha Chatterjee: শুভেন্দু-সুজন-দিলীপ ঘোষরা বড় বড় কথা বলছে, খুঁজে দেখুন কী করেছে : পার্থ
বুধবার নিয়ম বহির্ভূতভাবে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন কুণাল বলেন, “সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী গড়িয়া দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে চাকরি করছিলেন, কোন যোগ্যতা ও কী পরীক্ষা দিয়ে তিনি চাকরি পেয়েছেন সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন পার্থ। আমাদের কাছে নথি এসেছে দীনবন্ধু কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ তাঁর স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছে, চিরকুট মারফত সেই চাকরি গ্রহণও করা হয়েছে।” নিজের বক্তব্যের সপক্ষে এদিন নথি দেখিয়েছেন কুণাল। তাঁর দাবি, কোনও ব্যক্তি আক্রমণ করার উদ্দেশ্য নেই, কিন্তু পরিস্থিতির জন্য এই কাজ করতে হচ্ছে।

Sweta Chakraborty : বিনা নোটিশে টানা কামাই, শ্বেতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ কামারহাটি পুরসভার?
সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্য গড়িয়ার দীনবন্ধ অ্যান্ড্রুজ কলেজে (Dinabandhu Andrews College) চাকরি করতেন। তবে তিনি এখন অবসরপ্রাপ্ত। তৃণমূল মুখপাত্র এদিন বলেন, “কোন পরীক্ষা ও কোন পদ্ধতিতে তিনি চাকরি পেলেন সেটা নিয়ে সুজন চক্রবর্তী কিছু বলেননি। কোন পদ্ধতিতে চাকরি পেয়েছেন মিসেস চক্রবর্তী, সেটাই আমাদের প্রশ্ন। নিয়োগের নীতি নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে।”

তৃণমূল মুখপাত্র জানিয়েছেন, “সব নথিই আমাদের কাছে অভিযোগ হিসেবে এসছে। উনি যে কলেজে চাকরি করতেন, সেটা সরকার অনুমোদিত। তথ্য খতিয়ে দেখার জন্য সব নথি আমার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাঠিয়েছি… ইডি-সিবিআইকে বলব বাম আমলের নিয়োগ থেকে তদন্ত হোক। শিক্ষামন্ত্রীকেও আমরা অনুরোধ করেছি তদন্ত করার।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *