পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণগড় এলাকায় রামপদ শীটের হোটেলে কাজ করতো ওই নাবালিকার বাবা ও মা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নাবালিকাকে তার বাবা ও মায়ের সঙ্গে দেখা করতে হোটেলে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় হোটেল মালিক ও আরেক কর্মচারী নাবালিকার শ্লীলতাহানি করে।
নাবালিকার সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। পরে নাবালিকার পরিবার নারায়ণগড় থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে হোটেলের মালিক ও এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করে নারায়ণগড় থানার পুলিশ।
ধৃত রামপদ শিট এর বাড়ি পোড়াকেল্লা এলাকায় এবং ধৃত অনুপ জানার বাড়ি বিদ্যাসাগর চক এলাকায়। মঙ্গলবার দুজনে ওই নাবালিকার শ্লীলতাহানি ঘটনায় প্রতিবাদ জানায় নাবালিকার বাবা-মা। সেই সময় নাবালিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে তুমুল অশান্তি হয় হোটেল মালিকের। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার।
ধৃত রামপদ শিট এবং কর্মী অনুপ জানাকে বৃহস্পতিবার তোলা হয় মেদিনীপুর পকসো আদালতে। পুলিশ তিনদিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছে। ঘটনাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থানা এলাকায় একটি নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার ঘটনা ঘটে। সরস্বতী পুজোর দিন গ্রামের এক আদিবাসী নাবালিকাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা অভিযুক্তের বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর চালায়। নাবালিকার বাড়ির লোক চন্দ্রকোণা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তবে ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করে অভিযুক্তের পরিবার।
ধৃত ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূল করেন বলে অভিযোগ করা হয়। যদিও ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে। ঘটনার সমালোচনা করে স্থানীয় BJP নেতৃত্বও।