Paschim Medinipur : মাথায় লক্ষাধিক টাকার ঋণের বোঝা, গড়বেতায় আত্মঘাতী আলু ব্যবসায়ী – potato trader lost life due to debt burden of lakhs of rupees in chandrakona


West Bengal News : আলু ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার পশ্চিম মেদিনীপুরে। সুইসাইড নোট লিখে আলু ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের অনুমান। মৃত ব্যক্তির নাম মনোজ দত্ত (৪৮)। ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার আমলাগোড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ওই আলু ব্যবসায়ীর মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। সুইসাইড নোট অনুযায়ী, ব্যবসায় নেমে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির মুখে পড়ে ওই আলু ব্যবসায়ী।

Lottery Sambad : রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির মাঝে রাতারাতি কোটিপতি পঞ্চায়েত সচিব, সৎ পথেই!
যার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। ব্যবসায় বিপুল অঙ্কের ক্ষতির কথা জানিয়েছেন তাঁর লেখা সুসাইড নোটে। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে গড়বেতা থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

মৃত্যুর পিছনে কী কারণ তা ক্ষতি দেখছে পুলিশের অধিকারীকরা। ওই আলু ব্যবসায়ীর সঙ্গে কিছুদিনের ব্যবসায় নেমেছে তাঁর ছেলে স্বরূপ দত্ত। স্বরূপ জানায়, বাবা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা করছে, কিন্তু গত কয়েক বছর প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। অনেক টাকার বন্ড কেনা ছিল। প্রচুর লোকের কাছে ধার হয়ে যায়।

HS Exam 2023 : প্রশ্নপত্র কোন ভাষায়? সাদা খাতা জমা দিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা
এর পাশাপাশি ব্যবসার আসল পুঁজিও খরচ হয়ে গিয়েছিল। ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার কারণেই তিনি মানসিক ভাবে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় ছিলেন বলে জানান স্বরূপ। তবে ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।

বিগত বছরের আলুর দাম অনেকটা ওঠানামা করার কারণে অনেক জেলাতেই আলু ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আলুর ব্যবসায় ক্ষতির কারণে ব্যবসায়ীদের আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার ঘটনা এর আগেও দেখা গিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোণার হেমতপুর গ্রামে এক আলু ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হয়। ব্যবসায়ীর নাম সুকুমার ঘোষ।

Police Constable Death : ব্যারাকের ভিতর কনস্টেবলের ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
জানা যায়, সুকুমার ঘোষ নামে ওই ব্যবসায়ী প্রায় ১০ গাড়ি আলু স্থানীয় একটি হিমঘরে মজুত রেখেছিলেন। হিমঘরে আলু রাখার জন্য ব্যবসায়ী তাঁর স্ত্রীর ও আত্মীয়দের কাছ থেকে গয়না নিয়ে বন্ধক রেখেছিলেন। গয়না বন্ধক রেখে চন্দ্রকোণায় কালিকাপুরের এক সোনা ব্যবসায়ীর কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকা লোন নিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। এত টাকা লোনের বোঝা থাকার পরেও ওই ব্যবসায়ীর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। সে কারণেই আত্মহত্যা বলে জানায় পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *