চৈত্র তাঁতবস্ত্র, খাদি ও হস্তশিল্প প্রদর্শনী মেলা প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ৬৫ টি স্টল দিয়েছে এই মেলায়। অন্যান্য জায়গার তুলনায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরে ক্রেতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি এমনটাই বলছেন এই মেলায় আসা ব্যবসায়ীরা। তাই তারা বিভিন্ন পোশাকের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছেন।
রাজ্য সরকার ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের উৎপাদিত পণ্য যাতে বাজার যাত করা যায় তার জন্য প্রতিবছর এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করে চলেছে। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী বলেন, “বাংলার তাঁত শিল্প ক্ষতির মুখে পড়েছিল আগের দুই বছর। গত দু’বছর সরকারি সাহায্য ও সহযোগিতায় তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ঘটেছে।
আগামীদিনে বাংলার তাঁতের তৈরি পোশাক ভিন দেশে রফতানিও করা হবে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বা তমলুক না, রাজ্যের প্রতিটি কোনায় এখন তাঁত বস্ত্র, খাদি ও হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে”। এই মেলায় আসা এক ব্যবসায়ী জানান, “গত দুই বছর করোনা মহামারীর কারনে ব্যবসা একেবারেই চলেনি। এই ২০২৩ সাল থেকে একটু আশার আল দেখতে পাচ্ছি।
এর আগেও তমলুক শহরে এসেছি। ভালই ব্যবসা হয়েছে। আশা রাখি এই বছরও ভালো ব্যবসা করে বাড়ি ফিরতে পারব”। মেলাতে বিভিন্ন ষ্টলে স্বল্পমূল্যে ও গুণগত মান বজায় রেখে সামগ্রীগুলি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই উদ্যোগকে সফল করতে গোটা জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে জোর প্রচার।
প্রশাসনের আশা, এই প্রয়াস সফল হবে। খুলে যাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য নতুন দিশা। মহিলাদের নিজেদের হাতে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী সাধারণ মানুষের নজর কাড়ছে। এছাড়াও মেলায় পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রকমের পিঠে থেকে হরেক রকমের খাবার।