তবে বিনা নোটিশে এবং কর্তৃপক্ষকে কোনও কিছু না জানিয়ে শ্বেতার অফিসে না আসা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না কামারহাটি পুর কতৃপক্ষ। শ্বেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়ার পথে পুরসভা হাঁটতে পারে, জাগো বাংলার প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর তাঁকে শোকজ করা হতে পারে।
কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা এই প্রসঙ্গে জাগো বাংলাকে বলেন, “যাবতীয় নিয়ম মেনে এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুযায়ী ২০১৯ সালের পুরসভার বিভিন্ন বিভাগে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পান শ্বেতা। বর্তমানে বিষয়টি সামনে আসার পর আমরা যাবতীয় নথি গুছিয়ে রেখেছি।”
কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, “দুর্নীতি নিয়ে পুরসভার তদন্ত করার কোনও এক্তিয়ার নেই। তদন্তের কারণে আমাদের কাছে যদি কোনও নথি চাওয়া হয়, তা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। পুরসভার পক্ষ থেকে আমরা চাই স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে আসল তথ্য সামনে আসুক। আমদের দলনেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে দু্র্নীতিকে আমরা কখনও প্রশয় দিই না। যাঁরা দু্র্নীতি করেছে আইন মেনে তাদের শাস্তি দেওয়া হোক।” শ্বেতাকে নিয়ে পুরপ্রধান বলেন, “তিনি বিনা নোটিশে অফিস আসছেন না। এমনটা চলতে থাকলে তাঁকে শীঘ্রই শোকজ করা হবে। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।”
নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়নের গ্রেফতারির পর থেকে তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলছে। এর পাশাপাশি তাঁর দফতর থেকে উদ্ধার হওয়া নথি যাচাই করে আদালতে ইডি দাবি করেছে যে শুধুমাত্র শিক্ষা দফতর বা এসএসসির ক্ষেত্রেই নয়, বরং রাজ্যের সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যের মোট ৬০ টি পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি। আগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।