পুরসভার কাজে বরাত পেতে হলে চার থেকে পাঁচটি কোম্পানি দরপত্র দিতে পারত। প্রভাব খাটিয়ে এবিএস ইনফোজোনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে দরপত্র জমা করত অয়ন। ফলে তাঁর হাতে থাকা সংস্থায় কাজের বরাত পেত। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই পুরসভা গুলির একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এবং আগামী দিনে টেন্ডারের পদ্ধতি জানার জন্য তাদের কাছে তথ্য চেয়ে পাঠানো হবে। এমনকী হাইকোর্টেও রিপোর্ট আকারে তথ্য পেশ করা হবে।
অন্যদিকে অয়ন শীলকে জেরা করে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছ। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, রাজ্যের পুরসভার গুলির মোট ৬ হাজার চাকরি বিক্রি হয়েছে। অয়নের সংস্থার সঙ্গে কতগুলি পুরসভার চুক্তি হয়েছে, এবিএস ইনফোজোনকে ইমেল করে জানতে চাওয়া হয়েছে, ইডি সূত্রে এমনটাই খবর। ইডি সূত্রে খবর, তিনটি ব্যাঙ্ককে ইমেল করে অয়নের সংস্থার অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
অয়নকে গ্রেফতারির আগে ৩৭ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল তদন্তকারীরা। তল্লাশি শেষে ২ ট্রলিব্যাগ ভর্তি নথি উদ্ধার হয়। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অয়নের ফ্ল্যাটের ডাস্টবিন থেকে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথির হদিশ পাওয়া যায়। সেখানে ছিল চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা। সেখান থেকে একাধিক পুরসভার নামও পাওয়া গিয়েছে। ইডির দাবি, প্রথম চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার তল্লাশিতে কিছুই মেলেনি। উল্লেখ্য, এদিন আদালতে যাওয়ার পথে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আগামী দিনে সব সত্যি জানতে পারবেন। তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে, সব জানা যাবে।”