Ayan Sil : অয়নের সূত্রে প্রভাবশালী ও টাকার অঙ্কে নিয়োগ-চক্র পুরসভায় – recruitment scam recommendations and financial transactions in municipality were main keys of ayan sil


অশীন বিশ্বাস, বরাহনগর
পুরসভায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অয়ন শীলের সংস্থার কাজকর্ম ছিল স্রেফ লোক দেখানো। আদতে নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরসভা এবং পুরসভার বাইরে প্রভাবশালীদের সুপারিশ এবং আর্থিক লেনদেনই ছিল মাপকাঠি। ইডি সূত্রের দাবি, অয়নের শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেডকে সামনে রেখে একদিকে অয়ন আর একদিকে পুরসভার প্রভাবশালীদের হাত ধরেই চাকরির গোটা প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।

Ayan Sil Sweta Chakraborty : নিয়োগের টেন্ডারে অয়নের বড় তাস কি বীরভূমের নেতা?
যাতে লাভবান হয়েছেন প্রভাবশালীদের আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠরাই। শুধু তাই নয়, অয়নের সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া অনেক কর্মীও শহরতলির একটি পুরসভায় দিনের পর দিন গরহাজির থেকে মাসিক বেতন নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। ধৃত অয়নের সল্টলেকের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথি এবং তার প্রেক্ষিতে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে একের পর এক পুরসভাগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে তার প্যাটার্ন দেখে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারী আধিকারিকদের।

Recruitment Scam : অয়নের সংস্থাকেই দায়িত্ব নিয়োগের, বিপাকে বহু পুরসভা
যে সব পুরসভার নাম তদন্তকারীরা পেয়েছেন, তার মধ্যে ব্যারাকপুর মহকুমাতেই রয়েছে বেশ কয়েকটি পুরসভার নাম। অনেক ক্ষেত্রেই পুরপ্রধান বা পুর পারিষদ সদস্য বা কাউন্সিলারদের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠরা পুরসভার বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি পেয়েছেন।

তবে শুধু পুরসভা নয়, অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বীরভূমের বাসিন্দা রাজ্য পুর কর্মচারী ইউনিয়নের এক প্রভাবশালী নেতার সুপারিশও পুরসভায় চাকরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেনও হয়েছে বলে খবর। তালিকায় রয়েছে বরাহনগর পুরসভার নাম। এখানেও অয়নের সংস্থার মাধ্যমেই নিয়োগ হয়েছিল।

Recruitment Scam : ‘কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে বলেছি’, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বড় মন্তব্য ফিরহাদের
সূত্রের দাবি, পুর পারিষদ সদস্য থেকে প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলারের নিকট আত্মীয়দের কেউ কেউ এই পুরসভায় চাকরি করছেন। কারও চাকরি হয়েছে পাশের পুরসভায়। পুর কর্মচারী ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতার নিকট আত্মীয়ের নামও সেই চাকরির তালিকায় রয়েছে। বরাহনগর পুরসভায় অয়নের সংস্থার মাধ্যমে চাকরি পাওয়া অন্তত ১৮-২০ জন কর্মী করোনার পর থেকে নাকি পুরসভাতেই আসছেন না। অথচ মাসের বেতন তাঁরা তুলে নিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে বরাহনগরের পুরপ্রধান অপর্ণা মৌলিক বলেন, ‘পুরসভায় যারা অনিয়মিত তাদের কয়েকজনকে কিছু দিন আগে শোকজ করা হয়েছে।’

অন্যদিকে পানিহাটি পুরসভায় নিয়োগ না হলেও, নিয়োগের প্রক্রিয়া অয়নের সংস্থার মাধ্যমেই হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে অন্য একটি পুরসভার সুপারিশেই পানিহাটিতে অয়ন মাথা গলিয়েছিল। জানা গিয়েছে, অয়নের সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগের পরীক্ষা হয়ে গেলেও ডিএলবির আপত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।

Sweta Chakraborty : বিনা নোটিশে টানা কামাই, শ্বেতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ কামারহাটি পুরসভার?
পরে পুরসভায় প্রশাসক বসার পর ফের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরসভা নাড়াচাড়া শুরু করে। সূত্রের খবর, পুরসভায় নিয়োগ হলেও পানিহাটির এক প্রভাবশালীর দ্বারাই গোটা বিষয়টা নিয়ন্ত্রিত হতো। সে ক্ষেত্রে পুরসভার বদলে ওই প্রভাবশালীর বাড়িতেই অয়নের যাতায়াত ছিল এবং সেখানেই নিয়োগ সংক্রান্ত রফা হতো বলে জানা গিয়েছে।

Sweta Chakraborty Ayan Sil: অয়ন ঘনিষ্ঠ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার শ্বেতার চাকরিও আতস কাচের তলায়, মুখ খুলল পুরসভা
সূত্রের দাবি, নিয়োগের ২০% অয়নের হাতে এবং বাকিটা ওই প্রভাবশালীর দায়িত্বে ছিল। নিয়োগের ক্ষেত্রে যা আবেদন জমা পড়ত, তা পুরসভার গাড়িতে করেই পাঠিয়ে দেওয়া হতো অয়নের অফিসে। যদিও পানিহাটির পুরপ্রধান মলয় রায় বলেন, ‘তৃণমূল পুরবোর্ড ক্ষমতায় থাকাকালীন পুরসভায় কোনও নিয়োগই হয়নি। সুতরাং নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *