এই ধর্মঘটের পরেই জেলার প্রায় ১ হাজার শিক্ষকে শো-কজ করা হয় কেন সরকারি নির্দেশ অমান্য করে তারা বনধে সামিল হয়েছিল। গতকাল সন্ধ্যায় এই শো-কজের চিঠি দেওয়া হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের। চিঠি পাওয়ার পরেই আজ জেলার ১৮ টি সার্কেল অফিসে এই চিঠির উত্তর দেওয়ার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকারা যেতেই দেখা যায় সেখানে দফতরের কেউ নেই। সেই কারণেই তাদের চিঠি কেউ রিসিভ করছে না।
এর পরেই রাজগঞ্জ, ধুপগুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গাতে শিক্ষক শিক্ষিকারা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে৷ পাশাপাশি সমস্ত সার্কেল অফিসে এই শিক্ষক শিক্ষিকারা লাল আবির মেখে মিষ্টি মুখ করে তাদের আন্দোলনের নৈতিক জয় জন্য উল্লাস করেন৷
এই বিষয়ে ABPTA জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝা বলেন, “১০ মার্চ আমরা সফলভাবে ধর্মঘট পালন করেছি। আর ধর্মঘট সফল দেখেই সরকার ভয় পেয়ে যায়। তাই ধর্মঘটে অংশগ্রহন করা শিক্ষকদেরকে সরকার শো-কজ নোটিশ জারি করে। সেই অনুযায়ী সমস্ত শিক্ষকই শো-কজের চিঠির উত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু আজ সেই চিঠি কেউ রিসিভ করেননি।”
তিনি আরও বলেন, “এভাবে রিসিভ না করতে করতে যখন উত্তর দেওয়ার সময় পেরিয়ে যাবে, তখন সরকার বলবে যে শিক্ষকরা শো-কজের উত্তর দেননি। এভাবে চলতে পারে না। জেলা প্রথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদ ঘেরাও করা হবে।”
DA আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন শিক্ষকরাই। সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, গত ১০ মার্চ তাঁরা কেন অফিসে আসেননি, তার সন্তোষজনক জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে। জবাব সন্তোষজনক না হলে এক দিনের বেতন কাটা যাবে।
পাশাপাশি কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ পড়বে। পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় সামান্য প্রভাব পড়তে পারে এর জেরে। শোকজের জবাব সরাসরি জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে পাঠাতে হবে ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত শিক্ষকদের।