এই সময়: এ বার থেকে কলকাতা পুরসভার সব কর্মচারীকে অনলাইনে তাঁদের সম্পত্তির হিসেব পেশ করতে হবে। প্রত্যেক বছর ১ জানুয়ারির মধ্যে কর্মীদের সম্পত্তির হিসেব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করে দিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। ‘অ্যানুয়াল কনফিডেনশিয়াল রিপোর্ট’-ও জমা করতে হবে নির্ধারিত সময়ে। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন পুর কমিশনার।
স্কুলে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্যের কয়েকটি পুরসভার নিয়োগে কারচুপি-সহ বিভিন্ন অনিয়মের সন্ধান পেয়েছেন ইডি’র আধিকারিকরা। তার প্রেক্ষিতে পুরসভায় অনিয়ম ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে।
স্কুলে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্যের কয়েকটি পুরসভার নিয়োগে কারচুপি-সহ বিভিন্ন অনিয়মের সন্ধান পেয়েছেন ইডি’র আধিকারিকরা। তার প্রেক্ষিতে পুরসভায় অনিয়ম ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে।
পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারি নিয়ম মানতে এতদিন পর্যন্ত চিরকুটে লিখে সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতেন পুরকর্মীরা। তাতে তেমন গুরুত্বও দিতেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর আধিকারিকরা। ফলে, কার কত সম্পত্তি বাড়ল, সেই তথ্য সাধারণত কোনও দিন সামনে আসত না। সেই সব খতিয়ান আলমারিতে ফাইলবন্দি হয়েই থেকে যেত। কিন্তু এখন থেকে তার উপর কড়া নজর রাখবেন আধিকারিকরা।
অনলাইনে সেটা যখন-তখন দেখা যাবে। কোনও পুরকর্মীর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির সন্ধান পেলেই তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তিনি শাস্তির মুখে পড়বেন। পুরকর্মীদের পদোন্নতির সময়ে দেখা হয়, তিনি বিগত বছরগুলোয় সময় মতো সম্পত্তির হিসেব দিয়েছেন কি না, সেটা।