অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে, এতদিন পর্যন্ত তার কাঁধেই ছিল বীরভূম জেলার সংগঠনের দায়িত্ব। তার অবর্তমানে সেই দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই মর্মেই বীরভূম তৃণমূলের সর্বস্তরের ৩০০-র বেশি নেতৃত্বকে শুক্রবার কালীঘাটে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তার আগেই বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপড়ে দিয়ে দল ছাড়লেন নলহাটির তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি।
নলহাটি 1 নম্বর ব্লকের বাউটিয়ার অঞ্চল সভাপতি মৃগাঙ্ক মন্ডল। দুই মাস আগে তার ছেলে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই সময় পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি পথ থেকে অব্যাহতি চেয়ে নলহাটির বিধায়ককে একটি চিঠি পাঠান। অভিযোগ,”সেই সময় বিধায়ক তাকে কটাক্ষ করে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলেন, ২০২১ সালেই নাকি সরানো হয়েছে মৃগাঙ্ককে ।” আর এরপরই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন এই তৃণমূল নেতা । সিদ্ধান্ত মত কালীঘাটের বৈঠকের ঠিক আগের মুহূর্তেই দলত্যাগ করলেন তিনি।
এই বিষয়ে ক্ষোভ উগড়ে মৃদঙ্গ মন্ডল জানান, “আমি পারিবারিক কারণে পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলাম। তার পরিবর্তে আমাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। বিধানসভা ভোটে বাউটিয়া অঞ্চল পিছিয়ে পড়েছিল। এতদিন বাদে বলা হয় সেই কারণে নাকি আমাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কিন্তু, লোকসভায় তো বিধায়ক ও তার ভাইয়ের এলাকার ফলও ভালো হয়নি তাহলে তাঁকে কেন নিষ্ক্রিয় করা হল না? “
এই বিষয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় মুখার্জি জানান, “মৃগাঙ্ক মন্ডল বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দলের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখেনি, না যোগদান করেছে কোন দলীয় কর্মসূচিতে। তাই নতুন করে পদত্যাগ পত্রের কোন প্রশ্নই আসে না ।”