Shashi Panja : ‘এজেন্সি রাজ চলছে দেশে’, রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে তোপ শশী পাঁজার – shashi panja criticized central government on rahul gandhi issue


West Bengal News : লোকসভার অধ্যক্ষ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ রাজ্যস্তরে তৃণমূল ও প্রদেশ কংগ্রেসের মধ্যে যতই বিরোধ থাক, দেশের রাজধানীতে BJP বিরোধী যে কোনও কর্মকাণ্ডে যে কংগ্রেসের পাশে থাকারই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে, একথা যেন স্পষ্ট। রাহুল ইস্যুতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী টুইট করার পর এবার মুখ খুলেছেন নারী শিশু ও সময়কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা।

Suvendu Adhikari : ক্ষমা চাননি কুণাল-শশী, মানহানির মামলা দায়ের শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুর
তিনি বলেন, “এজেন্সি রাজ চলছে দেশে। গনতন্ত্র একেবারে নিম্নস্তরে নেমেছে। পরিস্থিতি আরও ভয়ানক দিকে এগোচ্ছে” রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে এমনই সব মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি আরও বলেন, “যে ধরনের ডিক্টেটরশিপ চলছে দেশে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর তীব্র নিন্দা করে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টুইট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে সব শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের উচিৎ কেন্দ্রীয় সরকার ও BJP-র বিরুদ্ধে আওয়াজ গড়ে তোলা।”

Abhishek Priyanka : প্রিয়াঙ্কার নিশানায় মোদী, অভিষেকের মতে গণতন্ত্রের হত্যা! রাহুলকাণ্ডে পাশে তৃণমূল?
শশী পাঁজা বলেন, “দেশের যে সমস্ত বিরোধী দল রয়েছে যারা এই ধরনের ডিক্টেটরশিপ মেনে নেয় না, সেই সমস্ত দল একই সঙ্গে প্রতিবাদ করছে। পরবর্তীকালে
কর্মসূচি ঠিক হবে। তবে দেশের মানুষ বুঝতে পারছেন যে দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন। ভোটের বাক্সে তারাই জবাব দেবেন।”

আজ হাওড়া জেলার দালালপুকুর এলাকায় হাওড়া পুরসভার একটি অনুষ্ঠানে আসেন শশী পাঁজা। পুরসভার উদ্যোগে শারীরিক ভাবে বিশেষ সক্ষম শিশুদের জন্য একটি চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধী ছাড়াই তাঁকে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি প্রসঙ্গেও কথা বলতে শোনা যায়।

Mamata Banerjee On Rahul : ‘প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের আরও অবক্ষয়’, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে সরব মমতা
CPIM নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি প্রসঙ্গে শশী পাঁজা বলেন, “সত্য একদিন বেরিয়ে আসবে। অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনেক কথা বললেন, অশুভ আঁতাত করলেন, তাঁকে হারানোর জন্য অনেক কিছু চেষ্টা করলেন। কিন্তু যখন চিরকুটটা পাওয়া গেল তখন থেকে চক্রান্তকারীরা বিচলিত ও দিশেহারা। এবার তাঁরা কি বলবেন যারা তৃণমূলের দু-একজন নেতা কর্মীর দুর্নীতির জন্য গোটা দলটা কেই চোর বলেন! এগুলো ঠিক নয়। এবার যখন ধীরে ধীরে সব আগের সত্যিগুলো বেরিয়ে আসবে, তখন দেখব এনাদের মুখ দিয়ে কি কি সত্যি কথা বেরোয়।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *