Shyamal Debnath and Minister Swpan Debnath Photo Trending on Social Media Controversy Arises


Purba Bardhaman News : বুধবার দল থেকে বহিষ্কার করা হয় বর্ধমানের দাপুটে বিজেপি নেতা শ্যামল রায়কে। পরের দিনই রাজ্যের মন্ত্রী ও পূর্বস্থলী দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক স্বপন দেবনাথের সঙ্গে শ্যামল রায়ের একটি ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। শ্যামল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। যদিও ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শ্যামল রায় জানিয়েছেন, তিনি আদৌ তৃণমূলের যোগদান করছেন না। তাঁর দাবি, পুরনো একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে।

Bardhaman BJP : জেলার নেতারা ‘অযোগ্য’! তোপ দেগে ইস্তফা বর্ধমানের BJP নেতার
বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি শ্যামল রায়কে বহিষ্কার করার পর থেকেই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সঙ্গে শ্যামল রায়ের ছবিটি জেলার রাজনীতিতে জোর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে শ্যামল রায় জানান, এটা ২০১৯ এর একটি পুরনো ছবি। সেই সময় ঘোড়দৌড়চট্টি পুজো কমিটির দায়িত্ব তিনি নিয়েছিলেন। সেই পুজোরই উদ্বোধনের জন্য মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন। তখনই এই ছবি তোলা হয়।

Bardhaman BJP : জেলা BJP-তে বড় ফাটল! পাঁচ পদাধিকারীর আচমকাই পদত্যাগ
প্রসঙ্গত, বুধবারই বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি শ্যামল রায়কে বহিষ্কৃত করা হয়। রাজ্য বিজেপি কমিটি থেকে শ্যামল রায়কে বহিষ্কারের চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দল বিরোধী কার্যকলাপ ও বক্তব্যের জন্য শ্যামল রায়কে বহিষ্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই বিজেপি নেতাকে বহিষ্কারের পর বর্ধমান জেলা বিজেপির অন্দরে শুরু হয় জল্পনা।

Locket Chatterjee News : ‘অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে’, জিতেন্দ্র ইস্যুতে ফোঁস লকেটের
বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জেলা সহ-সভাপতি শ্যামল রায়কে রাজ্য কার্যালয়ের সম্পাদক প্রণয় রায়ের স্বাক্ষর করা একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘‘পত্র দ্বারা আপনাকে অবগত করা হচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশ অনুযায়ী আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।’’

Bogtui Case : ‘তৃণমূলের চামচাগিরি করছে…’, বগটুইয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে হুংকার বিজেপি জেলা সভাপতির
যদিও গত মঙ্গলবার দলের একাংশের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে নিজেই দল ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল শ্যামল। বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্যামল রায়। দল থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য তিনি জেলা সভাপতিকে চিঠি দেন। এরপরেই বর্ধমান জেলা বিজেপির দলের অভ্যন্তরীণ ফাটল নিয়ে শুরু হয়ে যায় চর্চা। এমত অবস্থায় বিজেপির দীর্ঘকালীন সদস্য এবং যুব সংগঠন থেকে উঠে আসা নেতা শ্যামল রায়ের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনায় বসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেনি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *