এখানেই শেষ নয়, দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে সুজন-পত্নীর চাকরি নিয়ে তোলা প্রশ্নের জবাবে বিমান বসু বলেন, ”বামপন্থীরা তদন্তে ভয় নায় না। পূর্ণাঙ্গ তদন্তে করবে করুক। আমাদের কোনও অসুবিধা নেই।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি প্রসঙ্গেও প্রতিক্রিয়ায় বিমান বসু বলেন, ”পার্থবাবু সম্পর্কে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। উনি বলছেন, ২০০৯ সালে নাকী ওঁকে চাকরির জন্য তদ্বির করা হয়েছিল কিন্তু সেসময় তো উনি বিরোধী দলনেতা। যেভাবে বলা হয়েছে, যা বলা হয়েছে তার মধ্যেই একটা প্রাচীর আছে। কথাটার উত্তর না দেওয়াই ভালো।”
একইভাবে কুণাল ঘোষের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিমান বসু বলেন, ” ওঁর একটা কথাতেই আমি বলি, আমরা বামফ্রণ্ট বারবার বলেছি মুখ্যমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। বাম আমলে দুর্নীতি হয়ে থাকলে ১২ বছর বাদে তৃণমূলের ঘুম ভাঙছে কেন? আমরা বলছি তো দুর্নীতির দাবি যখন করছেন, তখন শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।”
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাম জমানার নিয়োগকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। সিপিএমের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইটে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্যের নাম উল্লেখ করে একটি চিঠি টুইট করা হয়। ২০২১ সালে তিনি ৫৫ হাজার টাকা বেতনে অবসর নিয়েছেন তিনি এবং এখনও বেতন পাচ্ছেন, এই প্রসঙ্গ উল্লেখ রয়েছে। সঙ্গে একটি নথিও তুলে ধরা হয়েছে যা ১৯৮৭ সালের। যাকে চাকরি রেকমেন্ডেশনের চিরকূট বলে দাবি করেছে তৃণমূল।