বিস্তর টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত সমাধানসূত্র পাওয়া গেল রাজ্যের মুখ্যসচিবের ঘরে আলোচনার টেবিলেই। কলকাতা মেট্রো রেলের অরেঞ্জ লাইন অর্থাৎ নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর শাখার সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করার কাজ শুরু হলো বাইপাসের পাশেই। ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইনের প্রথম ৫.৪০ কিলোমিটার পথ ইতিমধ্যেই তৈরি। নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত অংশে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণের অনুমোদন এসেছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির (সিআরএস) দপ্তর থেকে।
কিন্তু অরেঞ্জ লাইন নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল-এর পরিকল্পনা পুজোর মধ্যেই অর্থাৎ অক্টোবরের আগে লাইনকে আরও অন্তত চার কিলোমিটার সম্প্রসারণ করা। রুবি থেকে অরেঞ্জ লাইনকে আরও চার কিলোমিটার সম্প্রসারিত করতে গেলে চিংড়িঘাটা এবং মেট্রোপলিটন- দু’টি অত্যন্ত ব্যস্ত মোড় পার করতে হবে। তবে তার আগে ভিআইপি বাজারের কাছে স্টেশনে ওঠার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর ফুট ওভারব্রিজ (এফওবি) তৈরি করতে হবে। এই এফোবি-র উপর দিয়েই স্টেশনে উঠবেন যাত্রীরা।
ভিআইপি বাজারের কাছের এই ফুট ওভারব্রিজ তৈরি নিয়ে বেশ কয়েক মাস টালবাহানা চলেছে। ওই অঞ্চলে মাটির নীচে সিইএসসির কেবল রয়েছে কি না, থাকলে কোন জায়গায় কেবল রয়েছে এবং সেই কেবল এড়িয়ে কী ভাবে ওই ওভারব্রিজ তৈরি করা সম্ভব- এই নিয়েই বার বার আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর ডাকা আলোচনায় সমাধান মিলেছে।
সেখানে বাইপাস বরাবর দ্রুত কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ার পর প্রথমে ভিআইপি বাজারে প্রস্তাবিত নির্মাণস্থল যৌথ ভাবে পরিদর্শন করেন সিইএসসি এবং আরভিএনএল-এর প্রযুক্তিবিদরা। গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রেডার দিয়ে মাটির নীচের পরিস্থিতি দেখার পর কাজ শুরু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর পরই পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে ওই এলাকায়। অরেঞ্জ লাইনের সম্প্রসারণের কাজ যখন চিংড়িঘাটা ও মেট্রোপলিটন মোড়ে শুরু হবে, সেই সময় বাইপাসের কিছুটা অংশ বন্ধ রেখে একটাই লেন দিয়ে ভাগ করে গাড়ি চলাচল করানোর প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই সময়ে বিমানবন্দর যাওয়ার জন্য অন্যতম ব্যস্ত ওই রাজপথে কী ভাবে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তার ভাবনা শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।