বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে আগেই জানিয়েছিলেন বলে দাবিন ছাত্রীর ৷ শবনম জানান প্রধান শিক্ষক আশ্বস্ত করেছিলেন, এর জন্য পরীক্ষা দিতে সমস্যা হবে না৷ কিন্তু, অ্যাডমিট কার্ডে ফোর্থ সাবজেক্টের উল্লেখ না থাকায় শীতলপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ শনিবার শবনমকে পরীক্ষায় বসতে দেয়নি বলে অভিযোগ৷
ছাত্রীর দাবি,পরীক্ষা কেন্দ্রের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, সে নিজের চেক লিস্ট দেখাতে পারলে তারা তাকে পরীক্ষা দিতে দেবে ৷ সেকথা শুনে ওই ছাত্রী তাঁর বাবা আর দাদাকে নিয়ে থাহাহাটি মাদ্রাসায় যায় ৷ প্রধান শিক্ষককে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানানোর পর তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়৷
ছাত্রীর অভিযোগ, ”’দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানোর পর আমার চেক লিস্ট দেখতে দেওয়া হয় ৷ দেখি, সেখানে ফোর্থ সাবজেক্টের বিষয়টি ঘষামাজা করে মুছে ফেলা হয়েছে ৷ নিজেদের দোষ ঢাকতেই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এই কাজ করেছে ৷ চেক লিস্টের ছবি তুলতে গেলে প্রধান শিক্ষক আমার দাদার গায়ে হাত তোলেন ৷ তার মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলে দেন৷ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের জন্য আমার ভবিষ্যৎ সংকটে পড়ে গেল৷”
শবনমের দাদা আকাশ খান বলেন, ”থাহাহাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের জন্য আমার বোনের উচ্চশিক্ষায় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল৷ অথচ তিনি একটু সহায়তা করলেই বোন পরীক্ষা দিতে পারত ৷ এনিয়ে আমি এসডিও এবং বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাব৷ এলাকার মানুষের কাছে আমার আবেদন, তাঁরাও যেন এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন৷ যাতে আমার বোনের মতো অন্য কারও এই দশা না হয়৷”
Didir Suraksha Kavach: চলছে উচ্চ মাধ্যমিক, নাচেগানে মাতোয়ারা তৃণমূল!
শীতলপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইনুর হক বলেন, ওই পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডে ফোর্থ সাবজেক্টের কোনও উল্লেখ ছিল না৷ ফলে কাউন্সিলের আইন মেনেই তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি৷ তবে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চাননি থাহাহাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুসলেমুদ্দিন আহমেদ৷ কয়েকজন শিক্ষক সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের থাহাঘাটি হাইমাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেননি ।