শনিবার হাবড়া BDO অফিসে দুয়ারে ডাক্তার কর্মসূচিতে যোগদানের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক একথা বলেন। তাঁর বক্তব্য, “২০১১ সালের নভেম্বরে একটা স্লোগান দিয়েছিলাম। সেটা হল CPIM-র সঙ্গে চলব না। তাঁদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি করব না। তারা কোনও বিয়েবাড়ি গেলে যাব না। ব্যাগ হাতে বাজারে দাঁড়িয়ে চা খাব না, আড্ডা মারব না। সেটা আজও খুবই প্রযোজ্য। আমি CPIM-র সঙ্গে চলার পক্ষপাতী নই। এরা ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক দল।”
চিরকুটে নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গে উঠতেই একথা বলে সুর চড়ান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি আরও বলেন, “CPIM-কে সামাজিকভাবে বয়কটের স্লোগান আজও প্রযোজ্য। CPIM শেষ হয়ে গিয়েছে। এদের কিছু হবে না। যেই মুখগুলিকে দেখছেন, সেগুলো পচে গিয়েছে। নতুন মুখ চাই।”
নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে CPIM-কে যুক্ত করে আজ্যের বনমন্ত্রী বলেন, “CPIM যা করে গিয়েছে তা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে শুনতে পাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি প্রতিটি দফতরের তদন্ত করেন তাহলে ওদের কী অবস্থা হবে বুঝতে পারছেন! সবে তো শুরু। শিক্ষা দফতর থেকে শুরু হয়েছে।”
এদিকে জ্যোতিপ্রিয়র এই বক্তব্য শুনে মুখ খুলেছে CPIM-ও। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় CPIM-র এরিয়া কমিটির সম্পাদক আশুতোষ রায় চৌধুরী জানান, “আসলে উনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে একথা বলছেন।” পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “মানুষ বলছে তৃণমূল মানেই চোর, তৃণমূল মানেই অসৎ। তবুও আমরা বলব তৃণমূলের মধ্যে যদি কোনও সৎ কর্মী থেকে থাকেন তাহলে তারা বেরিয়ে আসুন। টিভি, খবরের কাগজ, ইন্টারনেট খুললেই দেখা যায় তৃণমূল নেতাদের টাকা আর টাকা, বড় বড় অট্টালিকা, নতুন নতুন বান্ধবীর কথা।”
এছাড়াও তৃণমূল নেতাদের একাধিক চুরির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এই CPIM নেতা। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে বড় বড় তৃণমূল নেতাদের। সেই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে অস্বস্তিতে শাসকদল। আর সেই সময় ফের এই পুরনো স্লোগান আওড়ে মানুষের মনের মধ্যে অন্য ঘটনার কথা সঞ্চার করতে চাইছেন রাজ্যের মন্ত্রী।