স্থানীয় সূত্রে খবর, ১২ বছর আগে এলাকারই যুবক জয়ন্ত সর্দারের সঙ্গে বিয়ে হয় দিপালী সর্দারের। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত বলে জানা গিয়েছে। আর সেই কারণেই নাকি স্বামী ও স্ত্রী আলাদা থাকতেন।
মাঝে মধ্যে এসে জয়ন্ত তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেন। শুক্রবারও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয় বলে পাড়া সূত্রে খবর। স্বামী জয়ন্ত স্ত্রীকে মারধরও করে। আজ সকালে কুটির পাড়া গ্রামের ধানের জমির মধ্যে হাত পা বাঁধা অবস্থায় গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপানো মৃতদেহ দেখতে পান এলাকার লোকজন।
সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। একই সঙ্গে মাজদিয়া স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে স্বামী জয়ন্তর মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় রেল লাইনের ওপর থেকে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান স্ত্রীকে খুন করার পর স্বামী ট্রেনের তলায় গলা দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। এই ঘটনার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “দীপালি ও জয়ন্তকে আজ থেকে না, বহু বছর ধরে চিনি। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে রোজকার ঝগড়া অশান্তি লেগেই থাকত। সেই কারণেই বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন।”
ওই স্থানীয় বাসিন্দা আরও বলেন, “ওদের মধ্যে কোনওদিনই মিল ছিল না। ভালোভাবে কোনোদিন থাকেনি ওরা। এই বিষয়ে পাড়াতে অনেকবার আলোচনাও হয়েছে যে ওদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়াই ভালো। এই নিয়ে জয়ন্তর সঙ্গেও কথা বার্তা হয়েছিল। কিন্তু কেন ওরা বিচ্ছেদ করেনি সেটা জানিনা। আলাদা থাকত ঠিক কথা, কিন্তু মাঝে মধ্যেই একে অপরের কাছে গেলে তুমুল ঝামেলা লাগত। শুক্রবার রাতেও ঝগড়ার আওয়াজ পাই। কিন্তু তাই বলে জয়ন্ত এত বড় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে, বুঝতে পারিনি।”
পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। খবর দেওয়া হয়েছে দুজনের বাড়িতেই।