জানা যায়, ওই দুই নাবালিকা একজন চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী, বয়স ৯ বছর। অন্যজন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, বয়স ১১ বছর। অভিযোগ, ওই দুই নাবালিকা শুক্রবার রাতে টিউশন সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁদের প্রতিবেশী দাদু টাকার লোভ দেখিয়ে ফাঁকা মাঠে কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
এমনকি এই ঘটনার কথা বাড়িতে জানালে ওই নাবালিকাদের বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওই বৃদ্ধ। পরে দুই নাবালিকা পরিবারের লোকেদের জানায়। এই ঘটনায় নির্যাতিতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় আজ শনিবার।
অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে সবং থানার পুলিশ। ধৃতকে শনিবার তোলা হয় মেদিনীপুর আদালতে। এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) রানা মুখার্জি বলেন, “দুই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
এই বিষয়ে এক নির্যাতিতার মা পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁদের পরিবারের লোক বিষয়টি বুঝতে পারেনি। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিষয়টি তিনি জানতে পারেন যে তার মেয়ের সঙ্গে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্তর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন জেলা থেকে নাবালিকা নির্যাতনের খবর উঠে আসছে। গত সেপ্টেম্বর মাসেও নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনা ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার বলরামপুরের লোধা পাড়া এলাকায়। ঘটনায় গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। ধৃত যুবকের বয়স ২৬। এছাড়াও কিছুদিন আগে ঘাটালে বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে এক নাবালিকাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ওই নাবালিকা সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির সামনেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় অভিযুক্ত তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর জঙ্গলে তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।