তাঁর ছবি ব্যবহার করে বহু জনকে কুপ্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওই বধূর। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল করা হচ্ছিল তাঁর স্বামীর নম্বরও। এই ঘটনার পর থেকে অতিষ্ট হয়ে ওঠে তাঁদের জীবন।
বধূর কথায়, রাত বিরোতে তাঁদের ফোন বেজে উঠছে। এরপর অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসছে কুপ্রস্তাব। ইতিমধ্যেই তাঁরা এই বিষয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।
বধূর অভিযোগ, “আমার ছবি দিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছে কেউ একজন। এরপর সেই ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন ধরনের ভুয়ো চ্যাটিং করছে। আমার স্বামীর সঙ্গেও অশালীন কথাবার্তা বলছে। বহু নম্বর থেকে আমার স্বামীকে ফোন করে ভয় দেখানো হচ্ছে। আপাতত আমি থানায় এসেছি অভিযোগ দায়ের করতে।”
এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার DSP মোহিত মোল্লা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে৷ তে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি এক সাইবার গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ভুয়ো প্রোফাইল গড়ে ব্ল্যাকমেল করার ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে সিংহভাগ সময় কাছের কোনও মানুষ জড়িত থাকে।
পুরনো কোনও রাগের কারণেই কেউ এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, দিন প্রতিদিন সাইবার জালিয়াতির ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। সাইবার ক্রাইম নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্কও করা হচ্ছে বিস্তর। সোশাল মিডিয়ায় প্রচারও চালানো হচ্ছে প্রশাসনের উদ্যোগে।
কিন্তু, সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে অভিযোগের বহর দিন প্রতিদিন বাড়ছে। এই ঘটনায় আশঙ্কার সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ববৃদ্ধি এবং তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাতামাতি এর অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। প্রতিটি মানুষকে সাইবার জালিয়াতি নিয়ে সচেতন হতে হবে, এমনটাই বার্তা বিশেষজ্ঞদের।