শুক্রবার নবান্নের কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। এই নির্দেশিকায় রাজ্য প্রশাসনিক দফতর থেকে ৬ কর্মীকে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলায় বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নবান্নের অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও ভূমি দফতরের এই কর্মীদের বান্দোয়ান, বাঘমুন্ডি এবং মানবাজারে বদলি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে কিংকর অধিকারী বলেন, “যাঁরা ধর্মঘটে অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের উপর বদলির খাঁড়া নেমে আসছে। আমরা এই নিয়ে স্যাটে যাব। বেতন কাটা নিয়েও আমরা আইনি লড়াই লড়ব।”
তাঁর আরও সংযোজন, “যাঁদের মাইনে কাটা গিয়েছে তাঁদের টাকাও যাতে ফেরত দিতে হয় সেই জন্যও আমরা আইনি লড়াই চালাব। একইসঙ্গে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গণ মেল করা হবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA এবং অন্যান্য যে দাবি রয়েছে সেই প্রসঙ্গে জানিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকেও গণ মেল করা হচ্ছে।”
সরকারি কর্মচারি পরিষদের তরফে দেবাশিস শীল বলেন, “বদলি হওয়া সরকারি কর্মীরা যদি আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আইনি সাহায্য চায় অবশ্যই তাঁদের তা দেওয়া হবে।”
পাশাপাশি, আগামী ৩০ মার্চ মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। অন্যদিকে, সরকারের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সরকারি কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “সরকারের এই পদক্ষেপকে আহ্বান জানাচ্ছি।”
কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আইনি লড়াই লড়ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। গত বছর কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। রায়ঘোষণার তিনমাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বাবদ বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
আগামী মাসে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হতে পারে। চলতি বছর বাজেট পেশ করার পরেই সরকারি কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত তিন শতাংশ DA-র কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
কিন্তু, সরকারের এই ঘোষণার পরেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি রাজ্য সরকারি কর্মীদের। কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে কেন DA-র বিপুল ফারাক থাকবে? তা নিয়ে সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা।