রাস্তা খারাপের জন্য বিয়ে হচ্ছে না পাড়ার ছেলে- মেয়েদের। ‘দিদির দূত’ বিশ্বজিৎ দাসের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিল এলাকার বাসিন্দারা । উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের কোনিয়াড়া -১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রবিবার ‘দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে’ যান বাগদার বিধায়ক তথা বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। সেখানেই তাঁকে গ্রামের রাস্তা নিয়ে এই অভিযোগের কথা তুলে ধরেন বাসিন্দারা।
কর্মসূচি চলাকালীন ধুলনি গ্রামে পৌঁছতেই রাস্তার দাবিতে বিধায়ককে ঘিরে ক্ষোভ জানাতে থাকে সাধারণ মানুষ। স্থানীয় এক যুবক শেখার বালা বিধায়কের সামনে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “রাস্তার কারণে বিয়ে হচ্ছে না এলাকার ছেলেদের। রাস্তার পাত্রীপক্ষের লোক বলছে ভাগাড়ে বাড়ি।” সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনে বিশ্বজিৎ দাস তাঁদেরকে আশ্বস্ত করেন সরকারের নব ঘোষিত “রাস্তাশ্রী” প্রকল্পে ২ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করে দেওয়া হবে।
এই বিষয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “সাধারণ মানুষের সঙ্গত দাবি। রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় আছে। রাস্তাশ্রী প্রকল্পে এই রাস্তা সংস্কার হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।” বিধায়কের মুখে রাস্তা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কিছুটা স্বস্তিতে গ্রামবাসীরা। তাঁরা মনে করছেন, যত দ্রুত কাজ শুরু হয়, ততোই ভাল। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি মেটালে তাঁরা খুশি হবেন। তবে অনেকে এটাও বলছেন, “আগে রাস্তা হোক। না আঁচালে বিশ্বাস নেই।”
মাস দুয়েক আগে থেকেই রাজ্যের সব জেলায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব গ্রামে গ্রামে গিয়ে অভাব অভিযোগের কথা শুনতে শুরু করেন। একাধিক জায়গাতেই রাস্তা, জল, বিদ্যুৎ সরবরাহ বা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। তবে তার মাঝে বেহাল রাস্তার জন্য এরকম অসুবিধার কথা শুনে অবাক অনেকেই। যদিও যান চলাচল বা পথ চলতি মানুষের যথেষ্ট সমস্যার জন্য পড়তে হচ্ছে রাস্তার জন্য, সেই গুরুত্ব বুঝিয়ে দেন গ্রামবাসীরা।