জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর সদর ব্লকের মুড়াকাঠার জঙ্গলে পাতা কুড়াতে গিয়ে হাতির মুখোমুখি পড়ে যান শিলা ঘোড়াই নামে বছর ষাটের এক বৃদ্ধা। তড়িঘড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থাতে মেদিনীপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে, রবিবার ভোর রাতে খড়্গপুরের খেমাশুলিতে গ্রামে ঢুকে পড়ে চার-পাঁচটি হাতির দল। সে সময় হাতির পালের সামনে পড়ে যায় ললিতা মাহাতো নামে বছর পঞ্চাশের এক মহিলা। হাতি শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ললিতা মাহাতোর।
মুড়াকাঠার জঙ্গলে নিকটবর্তী এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা সকাল সাতটা নাগাদ বিষয়টি লক্ষ্য করি। দেখলাম জঙ্গলের মধ্যে এক বৃদ্ধা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।” জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে যাওয়ার কারণেই হাতির কবলে পড়তে হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জেলার দুই মহকুমায় হাতির হানায় দুটি মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ বন আধিকারিকদের কপালে। ইতিমধ্যেই জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে বন আধিকারিকরা। কাঠ কাটতে কিংবা মহুল কুড়াতে জঙ্গলে যাওয়ায় কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনবিভাগ। বিভিন্ন জায়গায় এই নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। এরপরেও কিছু স্থানীয় বাসিন্দা বন দফতরের নির্দেশিকা অমান্য করছেন বলে জানান হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর হাতির হানায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের জলহরি গ্রামের বছর ৪৫ এর কৃষক প্রশান্ত রানা’র মৃত্যু হয়। হাতি তাড়াতে গিয়েই হাতির পালটা আক্রমণে গ্রামের অদূরে আলু জমিতে মৃত্যু হয় তাঁর। মেদিনীপুর বনবিভাগের অন্তর্গত ভাদুতলা রেঞ্জের মৌপাল বিটে একটি দলছুট দাঁতালের আক্রমণে ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। নিষেধ করা সত্ত্বেও হাতি তাড়াতে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।