কোনওরকম গণ্ডগোল ও অশান্তি এড়াতে রামনবমীর প্রাক্কালে পুলিশ রুটমার্চ পাণ্ডবেশ্বরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন তারপরেই রামনবমী উৎসব। খনি অঞ্চলে রামনবমী উৎসব ঘিরে ব্যাপক সাড়া দেখতে পাওয়া যায়। পাণ্ডবেশ্বর-এর বিভিন্ন অঞ্চলে ও রামনবমীর দিন আখড়া বের হয়। এই অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন।
মহাবীর জয়ন্তী তথা রামনবমী উপলক্ষে, পাণ্ডবেশ্বর এর বিভিন্ন অঞ্চলে বের হয় মিছিল। আর এই রামনবমীর দিন এলাকায় কোনওরকম অশান্তি ও গণ্ডগোল এড়াতে তৎপর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। উল্লেখ্য এই পাণ্ডবেশ্বরের বিগত কয়েক বছর আগে রামনবমীর দিন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তাই আগেভাগেই পাণ্ডবেশ্বরে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে তৎপর পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ ।
পাণ্ডবেশ্বরের একাধিক জায়গায় লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। পাণ্ডবেশ্বরের যে সকল রাস্তা দিয়ে রামনবমীর আখড়া গুলি বের হবে আগেভাগেই সেই সমস্ত রাস্তার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে রবিবার পাণ্ডবেশ্বরে এসিপি অন্ডাল ওমর আলী মোল্লা, সিআই (বি) পিন্টু সাহা, পাণ্ডবেশ্বর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ দলুই ও থানার অফিসার এবং কম্ব্যাক্ট ফোর্স নিয়ে প্রদক্ষিণ করেন এলাকা ।
পুলিশের এই রুর্ট মার্চে এসিপি অন্ডাল ওমর আলী মোল্লা বলেন, যে সকল রাস্তা দিয়ে রামনবমীর আখড়াগুলি যাবে সেই রাস্তায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। সেগুলো ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা এবং এলাকার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবার জন্যই আজকের এই রুর্ট মার্চ। তিনি আশা রেখেই বলেন, “সমস্ত পাণ্ডবেশ্বর শান্তি শৃঙ্খল ভাবেই রামনবমী পালন করবে।”
প্রসঙ্গত, গত বছর বাঁকুড়া জেলার মাচানতলা রামনবমী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। মিছিল বের হতেই মিছিলের সঙ্গে পুলিসের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। জনতার ছোড়া ইটে আহত হন দুই পুলিসকর্মী। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। গত বছরের এই ঘটনার পর জেলায় জেলায় এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে বাড়তি নজর দেওয়ার বন্দোবস্ত করে জেলা প্রশাসন।