খড়দা বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে শনিবার রবীন্দ্র ভবনে একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাপস। স্থানীয় বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে একাধিক ইস্যুতে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি অতীতে দলের বেশ কিছু সিদ্ধান্তকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করান বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক।
তাঁর মতে, “দোষ ত্রুটি আমাদেরও রয়েছে। সহকর্মী হিসেবে বলছি তা সংশোধন করে নেবেন। অহংকার বা দম্ভ ভুলে যান। দল ক্ষমতা দিয়েছে মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য, দলের কাজ করার জন্য। নম্রতা ও ভদ্রতার সঙ্গে সেই কাজ করতে হবে। অনেকেই কাজ করেন না। তাঁদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছি, মানুষের কাছে গিয়ে নিবিড় জনসংযোগ গড়ে তুলতে হবে।”
দলীয় কর্মীদের সতর্ক করার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বরানগরের বিধায়ক। তিনি বলেন, “পায়ের তলার মাটি শক্ত করার জন্য অন্যদলের বদমাশগুলো আমাদের দলে ঢুকে পড়ল। তাঁরা সবসময়ই সরকারি দলের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করে। তাঁরা দলে ঢুকে নিজেদের কাজ করছে, তাঁরা থোড়াই আমাদের কাজ করছে! এই জায়গাটা আমরা আটকাতে পারিনি। এই জায়গাটা যদি আমরা আটকাতে পারতাম, তাহলে আমাদের এই পরিস্থিতি দেখতে হত না।”
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রসঙ্গ টেনে এনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেন তাপস। তিনি বলেন, “কদিন আগে বিধানসভায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গ নিয়ে পদক্ষেপ করার চেষ্টা করলাম। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। দিদিমণি সেই সময় উঠে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলে শুভেন্দুকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে দিলেন না তিনি। দিদি যদি অনুমতি দিতেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ঠিক করে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে পারতাম, তবে রাহুল গান্ধীর মতো ওঁর বিধায়ক পদও খারিজ হয়ে যেত।”