শুধু প্রার্থী তালিকার ঘোষণা নয়, সেখানে সংখ্যালঘু মুখ হিসেবে মহিলা প্রার্থীও ঘোষণা করা হয়েছে।হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৫টি। তার মধ্যে ১৪টিকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে রবিবার।
এই প্রসঙ্গে BJP নেতা মেঘনাদ পাল বলেন, “এই ৫ নম্বর অঞ্চল BJP-র অত্যন্ত সংগঠিত অঞ্চল। সারা বছরই কর্মীরা মানুষের কাজ করেন। আমরা এখানে সংগঠন গড়েছি। তারই ফসল হিসেবে ১৪ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছি। এই সমস্ত আসনগুলিতেই আমরা জয়ী হব বলে আশা করছি।”
এই প্রার্থী তালিকায় সংখ্যালঘু মুখ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে মেঘনাদ বলেন, “আমরা কোনও ভেদাভেদ করি না। ১৪টি আসনেই আমরা জিতব। অপর যে একটি আসন রয়েছেসেখানে আমরাও জিতব না, তৃণমূলও জিতবে না। কে জিতবে তা ফলাফলের দিন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন।”
এদিকে BJP-র প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই সরব হয়েছে তৃণমূল। এখনও নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ঘোষণা করেনি। তার আগেই কী ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য শাসক দল।
বিষয়টি নিয়ে BJP-রবিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, “এখনও নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি। এখন থেকে প্রার্থী ঘোষণা করছে কারণ ওরা জানে পরে প্রার্থী পাবে না। যতই আগে থেকে প্রার্থী দিক ওই ১৫টি আসনে জয়ী হবে তৃণমূল।”
এই আসনগুলিতে সংখ্যালঘু প্রার্থী ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “BJP সংখ্যালঘুদের কোনও মর্যাদা দেয় না। এটা তাঁদের বিভিন্ন কার্যকলাপেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এরপরেও যদি কেউ সেখানে যেতে চায় তো সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। বিধানসভা নির্বাচনের সময় নন্দীগ্রামের মানুষকে ভয় দেখানো হয়েছিল। কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটে তা হবে না। সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হবে। মানুষ BJP-কে ভোট দেবেন।”
ইতিমধ্যেই এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। যদিও রাজ্য BJP নেতৃত্বের তরফে এখনও কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।