মামলাকারীর বক্তব্য
রাজ্যের অ্যাডিনোভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিল। মামলাকারী আইনজীবীদের বক্তব্য, অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আটজন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করেছে রাজ্য। কিন্তু, এই কমিটিতে একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য বলছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্য একাধিক কোমর্বিড রোগী। এই নিয়েও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হওয়ার প্রয়োজন।
নবান্নের টাস্ক ফোর্স
শিশু মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করতে অ্যাডিনোভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে নবান্ন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এই টাস্ক ফোর্স রাজ্যের সার্বিক অ্যাডিনোভাইরাস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। আটজনের বিশেষ টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমও। এছাড়াও রয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. ঢালি। উল্লেখ্য, সমস্ত জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের থেকে পাওয়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১০ হাজার ৯৯৯ জন অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হয়েছিল। তাঁর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১৯। এই তালিকার ১৩ জনের শরীরে কো-মর্বিডিটি ছিল।
অকারণে প্যানিক না করে সতর্ক হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। জানানো হয়েছে, অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ রাজ্যে অনেকটাই কমে এসেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ থেকে ৮৫০ জন আক্রান্ত হচ্ছিল, এখন সে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ প্রতিদিন। উদ্বেগ সামাল দিতে আগেই স্বাস্থ্য দফতরকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপে শিশু মৃত্যু আটকাতে আগেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রশাসনকে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।