Government Official : ‘সরকারি আধিকারিকদের স্যার বললে বেশি মাথায় উঠে যায়!’ তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক – chinsurah trinamool congress mla controversial remarks on government officials


West Bengal News: সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সরকারি আধিকারিকদের স্যার বললে মাথায় উঠে যায়, এমনটা মনে করেন অসিত। দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে বলতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক। দেবানন্দপুরের মালিকপাড়া, বিশালক্ষ্মীতলা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নল বাহিত পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের কল থাকলেও তা থেকে জল পড়ে না। পঞ্চায়েতে বার বার বলা সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি অভিযোগ বাসিন্দাদের।

Didir Surakhsha Kawach : হাতের নাগালে বিধায়ক, ভুরি ভুরি অভিযোগ জানালেন মহিষাদলবাসী
দিদির সুরক্ষা কবচের প্রচারে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে এই অভিযোগ শোনেন তৃণমূল বিধায়ক। কথা দিয়েছিলেন জলের সমস্যা মেটানোর কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। এদিন দেবানন্দপুরে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অভাব অভিযোগ শোনেন অসিত।

স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরমার্শও দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। অনেক বাসিন্দাই রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। জল নিয়ে অভিযোগ পেয়ে সেখান তেকে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে ফোন করেন বিধায়ক। কেন স্থানীয়দের পানীয় জল পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, তাঁরও খোঁজখবর নিয়েছেন অসিত।

Didir Suraksha Kawach : নিম্নমানের রেশন সামগ্রী বিতরণ, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রী
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অসিত বলেন, “যারা কাজের বরাত পেয়েছিল, তাঁদের গাফিলতিতেই জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে পারছে না। কী করে এই সমস্যা মেটানো যায় তা দেখা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে অন্য সদস্যদের উপর বিরক্ত হয়ে মানুষ আমাকে ফোন করছেন। পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা সরকারি আধিকারিকদের ‘স্যার’ বললে এমনই হবে। ‘স্যার’ বললে তারা মাথায় উঠে পড়ে। স্যার না বলে নাম ধরে অমুক বাবু তমুক বাবু বলা যেতে পারে।

পিএইচই ঠিকাদার বিমল হালদার বলেন, “বিধায়ক বলছেন চার পাঁচ দিনে সমস্যা মেটাতে। কিন্তু কী ভাবে সম্ভব। জলের সোর্স নেই। যে পাম্প চলছে তাতে পাঁচ হাজার বাড়িতে জল দেওয়া সম্ভব কিন্তু, জলের লাইন দেওয়া হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি বাড়িতে। জলস্বপ্ন প্রকল্পে প্রত্যেক বাড়িতে জল দিতে গিয়ে এই সমস্যা হচ্ছে।”

Trinamool Congress : এলাকা উন্নয়নের টাকায় কেনা হল বিলাসবহুল স্পিডবোট! বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক
অন্যদিকে রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনাবাদ এলাকায় জল না পেয়ে ঠিকাদার ও তাঁর লোকজনকে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। পরে খবর পেয়ে সেখানে যান অসিত। সেখানে গিয়ে বিধায়ক সেই কর্মীকে উদ্ধার করেন। বিধায়ক বলেন, “ঠিকাদাররা যত নষ্টের গোড়া। কী কাজ করতে হবে তার ওয়ার্ক ওর্ডার গ্রামবাসীরা দেখতে চাইলে দেখাতে হবে। রমজান মাস শুরু হয়েছে হোসেনাবাদ সংখ্যালঘু এলাকা তাই সেখানে জল না পেলে মানুষ ক্ষুব্ধ হবেনই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *