তবে জানা গিয়েছে, দৃষ্টিহীনদের জন্য এই ধরনের চশমা বাজারে মেলে। কিন্তু, অতিরিক্ত দাম হওয়ার কারণে অনেকেই তা কিনতে পারেন না। বাজারে যেখানে এই ধরনের চশমার মূল্য ৬ হাজার টাকা, সেখানে ২০০ টাকাতেই কাম তামাম করেছেন অর্ক। তাঁর দাবি, আপগ্রেড করে যদি ১ মিটার বদলে দূরত্ব ১০ ফুট ও ভয়েস কমান্ডিং সিস্টেম এই স্মার্টগ্লাসের সঙ্গে যোগ করা যায়, তবে তা বাজারের যে কোনও চশমাকে টেক্কা দেবে।
অর্কর কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানকার NSS ইউনিটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ক্যাম্পে এক সময় ঘুরেছেন এই কলেজ পড়ুয়া। প্রতিবন্ধীদের কষ্টের জীবন তাঁকে নাড়া দিয়েছিল। দৃষ্টিহীনদের সাহায্যে কোনও অবলম্বন নেই বুঝতে পেরেছিলেন অর্ক। তখনই জেদ চেপেছিল এঁদের জন্য কিছু করার। তখন থেকেই স্মার্ট চশমা তৈরির বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন অর্ক।
তিনি বলেন, “দৃষ্টিহীনদের কালো চশমা পরিয়ে দেওয়া হলেও তাদের তা কোনও কাজে লাগে না। জীবনের অন্ধকারকে আরও গাঢ় করে। সেখান থেকে চশম বানানোর বিষয় চিন্তা ভাবনা করি। ইতিমধ্যেই এই চশমার পরীক্ষা সফল হয়েছে। শেষ মুহূর্তের কাজ বাকি রয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা বাজারে বিক্রি করা যাবে।”
অর্ক জানিয়েছেন, চশমা বানাতে প্রয়োজন যাবতীয় সামগ্রী মাজদিয়া বাজার থেকে খুঁজে পেয়েছেন। সেন্সর , মাইক্রো স্পিকার, ব্যাটারি ও চার্জিং ডিভাইস দিয়ে এই চশমা তৈরি। একবার চার্জ দিলে ৬ ঘণ্টা ব্যবহার করা যাবেও বলেও জানিয়েছেন তিনি। অর্ক কবে বাণিজ্যিকভাবে এই চশমা বিক্রি শুরু করেন, সেটাই দেখার।