সম্প্রতি ভাঙড়ে আইএসএফের শক্তিবৃদ্ধির পর দল তাঁকে সেই বিধানসভার সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছেন। ঘটনাচক্রে তৃণমূলে আসার পর ভাঙড় থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন রেজ্জাক। সেই ভাঙড়ে কীভাবে কাজ করতে হবে তাঁর পরামর্শ নিতেই রেজ্জাকের কাছে হাজির শওকত। গুরুর থেকে পরমার্শ নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবরও নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।
মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করেই ভাঙ্গড় বাকরি গ্রামে রেজ্জাকের বাড়িতে হাজির হন শওকত। এক সময় দুজনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাকলেও সামনাসামনি বসে আজ দুজনে অনেক গল্প করলেন। সম্প্রতি রেজ্জাক জানিয়েছিলেন শারীরিক কারণে তিনি রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও এখনও তিনি তৃণমূলের সমর্থক। একদা শিষ্যের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রেজ্জাক এদিন জানিয়েছেন, শওকতের হাত ধরেই ভাঙড়ে তৃণমূলের ঘাঁটি পুনরুদ্ধার হবে। ভাঙড় নিয়েও রেজ্জাকের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে শওকত। রেজ্জাকের পরামর্শ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন বলেই জানিয়েছেন শওকত।
সাক্ষাত প্রসঙ্গে রেজ্জাক বলেন, “আমরা কোনও আক্ষেপ ছিল না। আমি তৃণমূলে আছি, এই দলই করব। তৃণমূলের লোকেরা দেখা করতে এলে ভালো লাগে। আশেপাশে যাঁরা রয়েছে, তাঁরা সকলেই আমাদের চেনা, ভালো কর দলটা করতে বলেছি। ভাঙড়ে শওকতই পারবে, কারণ ওঁর সেই দক্ষতা ও ক্ষমতা রয়েছে। ভাঙড়ে এখন অন্যরকম পরিস্থিতিতে। আমি যতদিন আছি শওকতকে পরামর্শ দেব। পারলে শওকতই পারব না।”
তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “কাকার শরীর খারাপ, অনেকদিন ধরে আসব আসব করছিলাম। আজকে এসে দেখে গেলাম, কথা হয়েছে। উনি সিনিয়র নেতা, রাজনীতি সম্পর্কে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই নিয়ে কাকার সঙ্গে কথা বলেছি। উনি আমাকে পরামর্শ দিলেন, সেই মতো কাজ করার চেষ্টা করব। ভাঙড়ের খুঁটিনাটি তাঁর জানা। কথা রয়েছে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। রেজ্জাক কাকার পক্ষে সবই সম্ভব।”