Financial Fraud: ‘থানা থেকে বলছি…’ পুলিশের পরিচয় দিয়ে যুবকের সঙ্গে চমকপ্রদ প্রতারণা, খোয়া গেল লক্ষাধিক টাকা – purulia man financially cheated by fake phone call using police station reference


Cyber Crime: “আমি থানাকে বলছি..” এই শব্দবন্ধ ভয় ধরিয়ে দেয় অনেককেই। এবার কোনও ব্যক্তি থানায় কাজ করলে তাঁর কাছে বিষয়টি স্বাভাবিক। সন্দেহ হওয়ার সুযোগও কম। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই লাখ টাকা প্রতারণার ঘটনা পুরুলিয়ায়। এক ব্যক্তি অনলাইন সহায়তামূলক কাজের দোকান চালান। পাশাপাশি, স্থানীয় থানায় পানীয় জল সরবরাহের কাজ করেন। থানার কথা শুনিয়ে তাঁর কাছ থেকেই হাতিয়ে নেওয়া হল টাকা। অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুরুলিয়া সাইবার ক্রাইম থানায়। দিন দিন অনলাইন প্রতারণা যেন নতুন নতুন জাল বুনছে। এবার অবাক করা ঘটনা ঘটল পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়ার বোরো থানা এলাকার বড়কড়মো গ্রামের বাসিন্দা অমিত মণ্ডল। বছর ২৮-এর এই যুবকের থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরে একটি অনলাইন সহায়তামূলক কাজের দোকান রয়েছে। এছাড়াও এই যুবক অবসর সময়ে জল সরবরাহ করার কাজ করে থাকে থানায়। তার কাছে থানার রেফারেন্স দিয়ে ফোন করে করা হল আর্থিক প্রতারণা।

Puri Hotel Booking : পুরীর হোটেল বুক করবেন? সাবধান, খোয়া যেতে পারে লাখ লাখ টাকা

গতকাল পুরুলিয়া সাইবার ক্রাইম থানায় দায়ের করা একটি লিখিত অভিযোগে ওই যুবক দাবি করেছেন, গত ২২ তারিখ বিকেল চারটা নাগাদ তাঁর কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। এবং তাতে বলা হয় “আমি বোরো থানা থেকে অফিসার বলছি, আমি তোমাকে চিনি, তুমি তো আমাদের থানায় জল দাও। আমার ৬০ হাজার টাকা দরকার বিপদে পড়েছি আমাকে একটু পাঠিয়ে দাও। আমি তোমাকে সন্ধ্যায় দোকানে গিয়ে নগদ টাকা দিয়ে আসব।”

Sandy Saha : স্যান্ডি সাহার বাড়িতে চুরি, সতীর্থের বিরুদ্ধে থানায় সোশাল মিডিয়া স্টার

কথা মতো সেই টাকা যুবকটি পাঠিয়ে দেয়। পরে ওই নম্বর থেকে আরও টাকা পাঠাতে বলা হয়। পাশাপাশি এও আশ্বাস দেওয়া হয় যে তিনি কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে সব টাকা দিয়ে যাবেন। এই ভাবে ধাপে ধাপে মোট ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা ওই ব্যক্তি কে পাঠিয়ে দেয় ওই যুবক। পরে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও টাকা ফেরত না আসায় ওই যুবক যখন ওই নম্বরে ফোন করেন তখন ফোন বন্ধ পান। পরে থানায় গিয়ে জানতে পারেন নম্বরটি থানার কারও নয় এবং থানা থেকে কেউ ফোন করে নি।

Leather Complex Kolkata : নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাবে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন! ঝোপের ভিতর থেকে উদ্ধার হাত-পা বাঁধা-অর্ধনগ্ন দেহ

তখন ওই যুবক বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পুরুলিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপারেশন) চিন্ময় মিত্তল বলেন, ” আমরা ব্যাংকের তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে স্থানীয় কেউ হতে পারে। তবে আমরা তদন্তে সমস্ত সম্ভবনার পথ খোলা রাখছি। “



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *