দুজনেই সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত নাজিরগঞ্জ ইনভেস্টিগেশন সেন্টার লিচু বাগান এলাকার বাসিন্দা। উদ্ধারের সময় একজনের পরনে ছিল কালো রঙের হাফ প্যান্ট, অন্যজনের সাদা রঙের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উদ্ধার করার সময় ওই দুই নাবালকের গায়ে কিছুই ছিল না। এদিকে, মৃত দুই নাবালকের বাড়ির লোকের অভিযোগ তাঁদেরকে খুন করা হয়েছে ও খুনের পর দেহ গঙ্গার জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকরা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
এদিকে কিভাবে ওই দুজন নাবালকের দেহ একই সঙ্গে গঙ্গায় ভেসে এল তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “সোমবার রাতে এই দুই নাবালকের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। রাতে খাওয়ার পরে আমি এই ঘাটের দিকে একটু হাঁটতে এসেছিলাম। এই ঘাটের কাছেই আমার বাড়ি।
দূর থেকে দেখতে পাই মনে হচ্ছে কোনও মানুষ শুয়ে রয়েছে। একটু কাছে গেলেই আমার ভুল ভাঙে। এক নাবালকের দেহ যেখানে পড়ে ছিল, তাঁর কাছাকাছিই আরও এক নাবালকের দেহও দেখতে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার আরও কিছু লোককে ডাকি। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়”।
ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানান, এই দুই নাবালক তাঁদের চেনা নয়। কারন তাঁদের এলাকায় কখনও এই দুই নাবালককে দেখা যায়নি। এই বিষয়ে পুলিশ নিজেদের মতন করে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে, মৃতদের পরিবার খুনের অভিযোগ করলেও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই দুই নাবালক কোনও এক জায়গায় একসঙ্গে গঙ্গায় সাঁতার কাটতে নামে।
সেই সময়েই তাঁরা হয়ত জলে ডুবে যায়, আর তাঁদের মৃতদেহগুলি এই এলাকায় ভেসে চলে আসে। যদিও মৃতদেহগুলির ময়না তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি কোনও সিদ্ধান্তে আসতে রাজি নয় পুলিশ। উল্লেখ্য, হাওড়ার গঙ্গা ঘাটগুলিতে মৃতদেহ ভেসে আসা কোনও নতুন ব্যাপার না।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেও সাকরাইলের একটি ঘাটে এক পলিটেকনিক পড়ুয়ার মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখা যায়। ওই পড়ুয়া কলকাতার বেহালার বাসিন্দা ছিল। পুলিশ গিয়ে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, কোনও এক জায়গা থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার পরে তাঁর মৃতদেহ ভাসতে ভাসতে সাকরাইলের দিকে চলে আসে।